আজকের বাংলা তারিখ

  • আজ শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং
  • ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (হেমন্তকাল)
  • ২০শে জমাদিউল-আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরী
  • এখন সময়, সকাল ৮:৩৬
দুই কলেজে চাকরি করেন এক শিক্ষক

দুই কলেজে চাকরি করেন এক শিক্ষক

প্রকাশিতঃ
অনলাইন ডেস্ক : শিক্ষক একজন, তবে চাকরি করছেন দুই কলেজে। এক কলেজে তিনি প্রভাষক আর অন্যটিতে অধ্যক্ষ। এমনকি মাদরাসায় এমপিওভুক্ত শিক্ষক পদে থাকা স্ত্রীকে দিয়েছেন নিজ কলেজের প্রভাষক পদ। নীতিভঙের অভিযোগ উঠেছে বগুড়ার দুপচাঁচিয়া কারিগরি কলেজের অধ্যক্ষ ছাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থার নেওয়ার কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, বেসরকারি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী একজন শিক্ষক একইসঙ্গে একাধিক পদে বা লাভজনক কোনো পদে থাকতে পারবেন না। তবে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে বগুড়ার কাহালু মহিলা ডিগ্রি কলেজে প্রভাষক ও দুপচাঁচিয়া কারিগরি কলেজে অধ্যক্ষ পদে একসঙ্গে চাকরি করে আসছেন ছাইফুল ইসলাম। এমনকি, তার স্ত্রী তালোড়া শাহ এবতেবাড়িয়া ফাজিল মাদরাসার শিক্ষক ফরিদা ইয়াসমিনকে নিয়োগ দিয়েছেন দুপচাঁচিয়া কারিগরি কলেজে প্রভাষকের পদে।

শুধু তাই নয়, অবৈধভাবে দুপচাঁচিয়া কারিগরি কলেজের মালিকানা হাতিয়ে নেওয়া, পরিচালনা পর্ষদ ছাড়াই কলেজ পরিচালনা ও ২০১৯ সালে এমপিওভুক্ত হওয়ার পর শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছ থেকে এ বাবদ অর্থ হাতিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। দুপচাঁচিয়া কারিগরি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আবদুর রহিম বলেন, ‘আমি এই কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ছিলাম। মায়ের জমি বিক্রি করে কলেজের জন্য কম্পিউটারসহ নানা সরঞ্জামাদি কিনেছিলাম। সেসময় ছাইফুলকে কম্পিউটার প্রভাষক হিসেবে নিয়েছিলাম।
পরবর্তীতে ছাইফুল অধ্যক্ষ হবেন এ জন্য মিজানুরকে সঙ্গে নিয়ে আমার ড্রয়ারের তালা ভেঙে সার্টিফিকেট ও কলেজের দলিলসহ অনুসাঙ্গিক কাগজপত্র চুরি করেন। পরে তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও করেছিলাম। শেষ পর্যন্ত তাদের ষড়যন্ত্রের শিকার হওয়ায় আমি আর ওই কলেজে যাইনি। পরে অধ্যক্ষ পদসহ অন্য কোনো পদে নিয়োগ হয়নি। হয়তো ইউএনওর স্বাক্ষর জাল করে এসব নিয়োগ নিয়েছেন। বিষয়গুলো তদন্ত হওয়া দরকার।’ কলেজের সহকারী লাইব্রেরিয়ান মিজানুর রহমান বলেন, ‘নীতিমালা ভঙ্গ করে ছাইফুল ইসলাম এক কলেজের অধ্যক্ষ আর অন্যটিতে প্রভাষক হয়েছেন। শুধু তাই নয়, তার স্ত্রীকেও দুই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করাচ্ছেন। তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ।’
কলেজের ল্যাব এসিস্ট্যান্ট আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা দুই ভাই এই কলেজে কর্মরত রয়েছি। ২০১৯ সালে কলেজ এমপিও হলেও আমরা এখনো কোনো বেতন পাইনি। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে বেতন নেওয়া হয়। আমাদের বেতনের ব্যবস্থা করার কথা বলে দুই ভাইয়ের কাছে এক লাখ টাকা নিয়েছেন অধ্যক্ষ ছাইফুল ইসলাম। আমারা এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে চাই।’ অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম দুই কলেজে চাকরির অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘আমি দুপচাঁচিয়া কারিগরি কলেজ থেকে আর্থিকভাবে লাভবান নয়। চাকরিটি এমপিও হলে আমি রিজাইন দিয়ে কাহালু কলেজে থাকবো। আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এবং হেনস্তা করতে একাধিক মামলাও করা হয়। অন্য অভিযোগগুলো মিথ্যা।’

দুপচাঁচিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জান্নাত আরা তিথি বলেন, ‘একজন শিক্ষক দুটি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করতে পারেন না। আমরা লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

 

সংবাদদাতা/ ইলিয়াস

Facebook
WhatsApp
Twitter

এ সম্পর্কিত আরো খবর

সম্পাদকঃ

সুভাষ সাহা

যুগ্ন সম্পাদকঃ

কাজী কবির হোসেন

ঠিকানাঃ

নারায়ণগঞ্জ অফিসঃ
পদ্মা সিটি প্লাজা, কক্ষ নংঃ ২২২, ৫৫/বি
এস, এম মালেহ রোড, টানবাজার
নারায়ণগঞ্জ-১৪০০

যোগাযোগ

ফোনঃ ৭৬৪০৬৯৯
মোবাইলঃ ০১৭১১৫৬১৩৯০
ইমেইলঃ bisherbashi.com.bd@gmail.com

USA OFFICE:

Wasington DC Bureau Chief:
Dastagir Jahangir,
3621 Columbia Pike Suit #104
Arlington USA, VA
22204
Phone: 7036770679
Email: tugrilcz@gmail.com

 

Website Design & Developed By
MD Fahim Haque
<Power Coder/>
www.mdfahim.com
Web Solution – Since 2009

error: Content is protected !!