অনলাইন ডেস্ক : দেশের বেশির ভাগ মানুষের দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় থাকা আমিষ বা প্রোটিনের অন্যতম উৎস ডিমের দাম কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না। প্রতিবেশী দেশ ভারতে সাড়ে ছয় টাকায় প্রতিটি ডিম বিক্রি হলেও বাংলাদেশে এর দ্বিগুণ। এ প্রেক্ষাপটে ডিমের বাজারে অস্থিরতা কমাতে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর তদারকি, আমদানি অনুমতি ও শুল্ক ছাড় দেওয়া হলেও দেশের বাজারে সংকট কাটছে না; ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে ভোক্তারা। তবে আমদানির খবরে অবশ্য ডিমের দাম সামান্য কমতে শুরু করলেও ভোক্তাকে এখনো প্রতি পিস ডিম ১৪ টাকা বা তারও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে বলে জানান খুচরা বিক্রেতারা।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বাজারে সিন্ডিকেট ভাঙা যাচ্ছে না। তাঁরা বলেন, খাদ্যের দাম বাড়ার ফলে উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় ডিমের দাম কমছে না। বাজারে মধ্যস্বত্বভোগীর দৌরাত্ম্য আর বড় কয়েকটি কম্পানির বাজার নিয়ন্ত্রণ এবং বেশ কয়েক ধাপে হাতবদলের ফলে সংকট কাটছে না বাজারে। এদিকে টিসিবির তথ্য অনুসারে গতকাল প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হয়েছে ১৫৫ টাকা করে।
লেয়ার মুরগির জন্য ফিডের দাম প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা নির্ধারণ করলেও এর চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। বাচ্চার সংকট দেখিয়ে তারা এসব করে। ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (বিএবি) সভাপতি মাহাবুবুর রহমান বলেন, ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণে হাতবদল অনেকটাই দায়ী। ভোক্তা পর্যায়ে ডিম পৌঁছতে সাতবার হাতবদল হয়। এতে কিছু অপেশাদার লোকজন এই বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে।
১২ প্রতিষ্ঠানকে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি : ডিমের বাজারে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সরকার নতুন করে ১২টি প্রতিষ্ঠানকে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে। গতকাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাজারে ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং জনগণের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
অভিযানে জরিমানা : গতকাল রংপুর নগরীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ও বুড়িরহাট এলাকায় ভোজ্য তেল ও পাইকারি মুরগি বিক্রির পোলট্রি ফার্মে অভিযান পরিচালনা করে দুটি প্রতিষ্ঠানকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সংবাদদাতা/ ইলিয়াস