অনলাইন ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানার ধর্ষণ মামলায় হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে খালাস দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেসমিন আরা বেগম এ রায় দেন। এ সময় মামুনুল হক আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ আসনে বসে পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা আমার চরিত্র নষ্ট এবং পরিবারকে জিম্মি করে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু আল্লাহ আমাকে সব ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করেছেন। মিথ্যা মামলায় খালাস দিয়ে বর্তমান বিচার ব্যবস্থা স্বচ্ছতা রক্ষা করেছেন। আমি বিচার ব্যবস্থার ওপর সন্তুষ্ট।’
মামুনুল হকের আইনজীবী ওমর ফারুক নয়ন বলেন, বাদী জান্নাত আরা ঝর্ণাসহ ৪০ সাক্ষীর মধ্যে ২৬ জনের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে আদালত রায় দিয়েছেন। এর মাধ্যমে আলেম সমাজ কলঙ্কমুক্ত হলো। ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টের একটি কক্ষে জান্নাত আরা ঝর্ণার সঙ্গে মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করে ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মী। খবর পেয়ে পুলিশ দু’জনকে হেফাজতে নেয়। এরই মধ্যে হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা রিসোর্টে হাজির হয়ে মামুনুল হক ও ঝর্ণাকে ছিনিয়ে নেন। এ সময় রিসোর্টে ভাঙচুর করা হয়।
এ ঘটনায় ১৮ এপ্রিল মামুনুল হককে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই বছরের ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় হাজির হয়ে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন ঝর্ণা। এর পর ৩ নভেম্বর মামুনুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
সংবাদদাতা/ ইলিয়াস