অনলাইন ডেস্ক : জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘আপত্তিকর’ পোস্ট দেওয়ায় খুলনার কয়রা উপজেলায় স্কুলশিক্ষককে তুলে নিয়ে মারধর ও হেনস্তা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বেদকাশী কাঁচারি বাজার জামায়াত কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। আজ সোমবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিয়ে ওই শিক্ষককে আরেকবার হেনস্তা করা হয়। এ সময় ফেসবুকে ক্ষমা চেয়ে পোস্ট দেওয়ার সিদ্ধান্তে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ভুক্তভোগী শিক্ষকের নাম বি এম হুমায়ুন কবির। তিনি বেদকাশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। এলাকায় খোঁজ নিয়ে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। তিনি প্রায় ফেসবুকে হাস্যরসমূলক পোস্ট দেন। ২০২৩ সালে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও অর্থপাচার নিয়ে একটি পোস্ট দেওয়ায় আওয়ামী লীগ নেতাদের রোষানলে পড়েছিলেন। গত ফেব্রুয়ারি মাসে চেক প্রতারণা মামলায় কারাগারে যাওয়ায় বর্তমানে তিনি বরখাস্ত রয়েছেন।
কয়রা থানার ওসি ইমদাদুল হক জানান, ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার ঘটনা নিয়ে জামায়াতের লোকজন উত্তেজিত ছিল। তারা শিক্ষককে আটকের কথা বলেছে, কিন্তু সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া আমরা কাউকে ধরতে পারি না। বিষয়টি ইউএনওকে জানিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে আজ দুপুরে কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে বৈঠক হয়। বৈঠকে ইউএনও রুলী বিশ্বাস, থানার ওসি ইমদাদুল হক, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তপন কুমার কর্মকার ও উপজেলা জামায়াতের আমির মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তপন কুমার কর্মকার জানান, হুমায়ুন কবীর ফেসবুকে ক্ষমা চেয়ে পোস্ট দেবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সংবাদদাতা / ইলিয়াস