অনলাইন ডেস্ক : সোনারগাঁয়ে মেঘনা গ্রুপের টিস্যু কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার ভোরে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের ঝাউচর এলাকায় অবস্থিত কারখানায় এ আগুনের ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের বিভিন্ন স্টেশনের ১২টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
প্রায় সাড়ে ৪ ঘন্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগের উপ-পরিচালক সালেহ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জানা যায়, সোমবার ভোর সোয়া ৫টার দিকে উপজেলার ঝাউচর এলাকায় অবস্থিত মেঘনা গ্রুপের ফ্রেশ টিস্যু উৎপাদনকারি পেপার অ্যান্ড পাল্প কারখানার গোডাউনে বৈদ্যুতিক র্শট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে।
পরে মেঘনা গ্রুপের নিজস্ব ফায়ার সার্ভিসসহ সোনারগাঁ, গজারিয়া, গজারিয়া বিসিক ফায়ার স্টেশন, বন্দর, কাঁচপুর ও ঢাকার সিদ্দিক বাজার ফায়ার স্টেশনের ১২টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। পরে প্রায় সাড়ে ৪ ঘন্টা পর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।
কারখানার শ্রমিকরা জানায়, ফ্রেশ টিস্যু উৎপাদনকারী এই পেপার অ্যান্ড পাল্প কারখানাটি চার তলা ভবন। ভোরেও কারখানায় কাজ চলছিল। হঠাৎ নীচতলায় আগুন দেখতে পায় শ্রমিকরা। এ সময় কারখানায় থাকা শ্রমিক কর্মচারী আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। তবে কারখানাটিতে বিপুল পরিমাণে কাঁচামাল, পেপার ও প্রস্তুতকৃত টিস্যু থাকায় আগুন বেড়ে যায়। পরে শ্রমিকরা ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়।
সোনারগাঁ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের স্টেশন অফিসার সুজন কুমার হালদার জানান, স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস এবং মেঘনা গ্রুপের নিজস্ব ফায়ার সার্ভিসসহ ১২টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে। টিস্যু কারখানায় মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে অনেকটাই বেগ পেতে হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। আগুনে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগের উপ পরিচালক সালেহ উদ্দিন জানান, সোমবার সকাল সোয়া ৫ টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সাড়ে ৫ টার মধ্যে তারা পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেন। বিভিন্ন স্টেশনের ১২টি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাষ্টিস লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক (টেকনিক্যাল) কার্তিক চন্দ্র দাস জানান, আগুনে কি পরিমান ক্ষতি হয়েছে তা পর্যালোচনা করা হয়নি। আমাদের এ কারখানার সম্পূর্ন মেশিনারিস পুড়ে গেলে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৫শ’ কোটি টাকা হতে পারে। তবে ক্ষতির পরিমাণ পরবর্তী অনুসন্ধানের পর সঠিকভাবে বলা যাবে।
সংবাদদাতা / ইলিয়াস