অনলাইন ডেস্ক : জুলাই-আগস্ট গণহত্যার অভিযোগের মামলার আসামি আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা, সাবেক উপদেষ্টা ও আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রীদের পক্ষে শুনানি করতে এসেছিলেন ঢাকা মহানগর দায়রা আদালতের সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট এহসানুল হক সমাজী। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি শুনানি থেকে বিরত থাকেন।
আজ সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এই ঘটনা ঘটে। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দেশ রূপান্তরের এক প্রশ্নে তিনি বলেছিলেন, তিনি এ মামলায় কয়েকজন আসামির পক্ষে শুনানি করতে চান। কিন্তু এখন পর্যন্ত ওকালতনামা জমা দেওয়া হয়নি। ওকালতনামা জমা দিলেই তিনি শুনানি করবেন। আজ মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলায় আওয়ামী লীগ সরকারের উপদেষ্টা, মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ, ১৪ দলীয় জোটের শীর্ষ কয়েকজন নেতাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
বেলা ১১টার সময় বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে শুনানি শুরু হলে শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম আদালতের উদ্দেশ্যে বলেন, আজকে ডিফেন্স ল’ ইয়ার (আসামিপক্ষ) হিসেবে সিনিয়র আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী শুনানি করতে এসেছেন। আমরা জানতে পেরেছি তিনি (সমাজী) রাষ্ট্রীয় একটি পদে আসতে পারেন। এখন তিনি যদি আসামিপক্ষে সাবমিশন রাখেন সেটি হবে ‘কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট’। এই পরিস্থিতিতে আমরা চাইবো তিনি যেন শুনানি না করেন।
এরপর এহসানুল হক সমাজী ডায়াসের সামনে দাঁড়িয়ে বলেন, আমি এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো চিঠি পাইনি। কী পদে নিয়োগ সে বিষয়েও আমার কোনো ধারণা নেই। তবে, এই মুহুর্তে শুনানি করে কোনো বিতর্ক তৈরি হোক আমি চাই না। আদালত তখন সমাজীর কাছে জানতে চান তিনি কার পক্ষে শুনানি করতে এসেছেন। জবাবে সমাজী সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক উপদেষ্টা তৌফিক- ই- এলাহী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ফারুক খানসহ পাঁচজনের নাম বলেন। একপর্যায়ে শুনানি থেকে বিরত থাকেন এহসানুল হক সমাজী।
তবে, অপর আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু তৌফিক- ই- এলাহী চৌধুরী ও ফারুক খানের পক্ষে শুনানি করতে চান। কিন্তু অভিযোগের অনুলিপি না থাকায় তিনি শুনানি করতে পারেননি। এ সময় আদালত এই আইনজীবীকে অভিযোগের অনুলিপি সরবরাহ করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
সংবাদদাতা / ইলিয়াস