অনলাইন ডেস্ক : পৌষ মাস না পড়তেই অগ্রহায়ণের শীতে কাঁপছে উত্তরের হিমপ্রবণ উপজেলা পঞ্চগড়। টানা এক সপ্তাহ ধরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে এ জেলায়। রাত থেকে ভোর পর্যন্ত তাপমাত্রা নেমে আসছে নিম্নস্তরে। রাত থেকে ভোর পর্যন্ত ১০-১১ ডিগ্রির মধ্যে তাপমাত্রা থাকছে অন্যদিকে দিনে তাপমাত্রা ২৮ থেকে ৩০ ডিগ্রির মধ্যে। এতে আবহাওয়ার এতো পরিবর্তনের কারণে ছড়াচ্ছে শীতজনিত রোগ-বালাই।
মঙ্গলবার সকাল ৯টায় ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কার্যালয়। এর আগে ভোর ৬টায় ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। যা আগের দিনের তুলনায় সামান্য বেড়েছে তাপমাত্রা।
সবজি চাষী দারাজ উদ্দিন ও আমজাদ আলী জানান, দিনের বেলা গরম হলেও সন্ধ্যার পর থেকেই ঠান্ডা বাতাসের কারণে শীত অনুভব হতে থাকে। রাত বাড়তে থাকলে শীতের মাত্রাও বাড়তে থাকে। এমন শীত মনে হচ্ছে পৌষ মাস। ভোর পর্যন্ত কনকনে শীত থাকায় রাতে লেপ, কম্বল নিতে হয়। তবে সকাল ১০টার পর আর ঠান্ডা থাকে না। দিনে বেশ গরম এখনো। দুই রকম আবহাওয়ার কারণে প্রায় ঘরে ঘরে জ্বর-সর্দি, কাশিও শ্বাসকষ্টে ভুগছে মানুষ।
পঞ্চগড়ের প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ জানান, গতদিনের তুলনায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। তবে অনুভূত হচ্ছে কনকনে শীত। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। ভোর ৬টায় রেকর্ড হয়েছে ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সামনের দিনগুলোতে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
সংবাদদাতা / ইলিয়াস