পোশাক শিল্প কারখানার জন্য বিশ্ববিখ্যাত জাপানী সুয়িং মেশিন ব্রান্ড ‘ইয়ামাতো‘ কোম্পানী নতুন মডেলের মেশিন বাজারে এনেছে। কোম্পানীর দাবী, নতুন এই মেশিনগুলির উপৎপাদন ক্ষমতা আগের চেয়ে বেশি। এগুলি অদক্ষ শ্রমিকরাও চালাতে পারবে। ফলে নতুন এ মেশিনগুলি নীট গার্মেন্ট সেক্টরে বিদ্যমান শ্রমিক সংকট সমাধানে ভূমিকা রাখবে। মেশিনগুলি ব্যবহার করা গার্মেন্ট মালিকরা বলছেন, নতুন মেশিনগুলি আসলেই আগের চেয়ে উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়ক। তারা ইয়ামাতো কোম্পানীর বিক্রয়োত্তর সেবারও প্রশংসা করেন।
সোমবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে ইয়ামাতো মেশিন শো আয়োজন করে ইয়ামাতো সুইং মেশিন ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানী লিঃ এর বাংলাদেশ লিয়াজোঁ অফিস। অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জের ১০০ টি গার্মেন্ট প্রতিষ্ঠানের সাড়ে তিন শতাধিক প্রতিনিধি অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে ইয়ামাতো সুইং মেশিন ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানী লিঃ এর বাংলাদেশ লিয়াজোঁ অফিসের জেনারেল ম্যানেজার এম শামীম হোসেন বলেন, বাংলাদেশে শ্রম ব্যায় দিনে দিনে বেড়ে যাচ্ছে। দক্ষ শ্রমিকের অভাবও তৈরী হয়েছে। গার্মেন্ট ব্যবসা দিনে দিনে প্রতিযোগিতামূলক হচ্ছে। এই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে আমাদের উৎপাদন খরচ কমাতে হবে। এজন্য প্রয়োজন অটোমেটিক মেশিন যাতে বেশি উৎপাদন করা যায়, কিন্তু তুলনামূলক কম খরচে। এ বিষয়টি মাথায় রেখে ইয়ামাতো নতুন অটোমেশিনগুলির ডিজাইন করেছে।
অনুষ্ঠানে এসে মেট্রো নিটিং ও ডাইং মিল এর জেনারেল ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম লাভলু ও ফকির এ্যাপারেলস এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আহসান হাবিব খন্দকার জানান, তারা আগে থেকেই ইয়ামাতো সুইং মেশিন ব্যবহার করছেন। এগুলি বাজারের অনেক মেশিনের চাইতে উন্নতমানের। নতুন মেশিনগুলি দেখে তাদের মনে হচ্ছে এগুলি আসলেই কম শ্রমিক বা অদক্ষ শ্রমিক দিয়ে পরিচালনা সম্ভব হবে। এবং আগের তুলনায় উৎপাদনও বেশি হবে।
রবিনটেক্স গ্রুপের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মিজানুর রহমান গাজী জানান, ইয়ামাতোর সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে এ কোম্পানীর বিক্রয়োত্তর সেবা। মেশিন বিক্রির পর তারা প্রথমতঃ শ্রমিকদের বুঝিয়ে দিতে কারখানায় বেশ সময় ব্যায় করেন। এরপরেও মেশিনে যেকোন সমস্যা হলে তাদের ডাকলে পাওয়া যায়।#