মঙ্গলবার রাতে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীর তারাব সুলতানা কামাল সেতুর নিচ থেকে চলাচলরত নৌযান থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজির সময় ৫ চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১। এসময় তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা, চাদা আদায়ের রশিদ বই ও চাদাবাজির কাজে ব্যবহৃত একটি ইঞ্জিন চালিত নৌকা জব্দ করা হয়। বুধবার বিকেলে র্যাব-১১ এর সিনিয়র এএসপি জসিমউদ্দিন চৌধুরীর স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানাযায়।
র্যাব-১১ এর সিনিয়র এএসপি জসিমউদ্দিন চৌধুরী সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, দীর্ঘদিন ধরে একটি অসাধুচক্র রূপগঞ্জের তারাব এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে চলাচলরত নৌযানগুলোকে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে জোরপূর্বক থামিয়ে চাঁদা আদায় করে আসছে। র্যাব-১১ এর অনুসন্ধানে নৌপথে চাঁদাবাজি সংক্রান্তে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ ও জড়িতদের আইনের আওতায় আনার জন্য মঙ্গলবার রাতে তারাব সুলতানা কামাল ব্রীজ এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে নদীতে চলাচলরত নৌযান হতে বিশেষ করে কয়লা, পাথর ও বালুবাহী বাল্কহেড হতে জোরপূর্বক থামিয়ে চাঁদা আদায়কালে তারাব হাটিপাড়া এলাকার নূর আলম ভূইয়া, টাটকি এলাকার মন মোহন বিশ্বাস, পূর্ব হাটিপাড়া এলাকার ইলিয়াস ফকির, তারাব উত্তর পাড়া এলাকার সোহানুর রহমান ওরফে সুমন প্রধান ও ওমর ফারুক নামে ৫ চাদাবাজকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় চাদাবাজির কাজে ব্যবহৃত একটি ইঞ্জিন চালিত নৌকা, চাঁদা আদায়ের ৯৮হাজার ৬শ টাকা ও চাঁদা আদায়ের ০৮ টি রশিদ বই উদ্ধার করা হয়।।
র্যাব আরো জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত নুর আলম ভূইয়া নিজেকে বিআইডব্লিউটিএ এর ইজারাদার দাবী করে একটি শুল্ক আদায়ের অনুমতি পত্র ও ১টি চুক্তিপত্র প্রদর্শন করে। অনুমতি পত্রে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে “নদী পথে চলাচলরত নৌযান হতে কোন প্রকার শুল্ক আদায় করা যাবে না”। এবং চুক্তিপত্রে উল্লেখ রয়েছে- “বিআইডব্লিউটিআই এর ঘাট বা পল্টুন ব্যবহার করে ৫০০ টন পর্যন্ত মালামাল লোড-আনলোড করলে সবোর্চ্চ ২০০ টাকা র্চাজ নিতে পারবে”। কিন্তু এই অসাধু চক্র সব নীতিমালা লঙ্ঘন করে দীঘদিন ধরে নৌপথে চাঁদাবাজি করে আসছে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ গ্রহন করা হয়েছে।##