প্রতিবন্ধী ও লিঙ্গস্বাতন্ত্রের ব্যক্তিবর্গকে চাকরি দিলে কর রেয়াত প্রদানের সিদ্ধান্ত অতি উত্তম। এমন সিদ্ধান্তের জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। যেহেতু বেসরকারী খাত এখন মানুষের কর্মসংস্থানের বড় জায়গা, তাই বাজেট প্রস্তাবনায় এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সুবিবেচনা। হিজড়া পরিচয়ে ভিক্ষা করে বা প্রকারান্তরে মানুষকে উত্যক্ত করে বেঁচে থাকা কারও মানবজন্মের একমাত্র নিয়তি হতে পারে না। এই অবস্থা থেকে মানুষগুলোকে উদ্ধার করে কর্মজীবনের মূল ধারায় নিয়ে আসা অত্যন্ত জরুরি।
বাজেটে নতুন কর ব্যবস্থা চালু হলে রেয়াত পাওয়ার জন্য বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বহু প্রতিবন্ধী ও লিঙ্গস্বাতন্ত্রের মানুষকে চাকরি দেবে বলে আমার বিশ্বাস। প্রস্তাবিত বাজেটে বলা হয়েছে, কোনো প্রতিষ্ঠানে প্রতিবন্ধী অথবা তৃতীয় লিঙ্গের কর্মচারী নিয়োগ দিলে নিয়োগদাতা কর্তৃপক্ষকে সুনির্দিষ্ট অঙ্কের কর রেয়াত দেওয়া হবে। কোনো করদাতা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ হিসেবে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মোট জনবলের অন্যূন ১০ শতাংশ অথবা ২৫ জনের বেশি কর্মচারী প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মধ্য থেকে নিয়োগ করলে তার প্রদেয় করের ৫ শতাংশ অথবা ওই প্রতিবন্ধী কর্মচারীদের মোট পরিশোধিত বেতনের ৭৫ শতাংশ (যেটা কম) কর রেয়াত দেওয়া হবে।
কোন করদাতা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ হিসেবে তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের নিয়োগ করেও একই সুবিধা পেতে পারেন। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মোট জনবলের অন্যূন ১০ শতাংশ অথবা ২৫ জনের বেশি কর্মচারী তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের মধ্য থেকে নিয়োগ করলে তার প্রদেয় করের ৫ শতাংশ অথবা ওই তৃতীয় লিঙ্গের কর্মচারীদের মোট পরিশোধিত বেতনের ৭৫ শতাংশ (যেটা কম) কর রেয়াত দেওয়া হবে। বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী প্রতিবন্ধীদের সুরক্ষায় আগামী অর্থবছরে ভাতাপ্রাপ্তের সংখ্যা ২৯ লক্ষ থেকে বৃদ্ধি করে ৩২ লক্ষ ৩৪ হাজার জনে উন্নীত করার কথাও বলেন। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের উপবৃত্তির হার বিদ্যমান ৯৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে এক হাজার ৫০ টাকায় উন্নীত করার সিদ্ধান্তও গ্রহণ করা হয়েছে। এগুলো সব মানবিক ও কল্যাণমূলক কাজ। সরকারের এসব সিদ্ধান্ত সফল হবে প্রত্যাশা করি।
নিউজ২৪/ সংবাদদাতা/ ইলিয়াস