অনলাইন ডেস্ক : বর্ষাকালে রাজধানীর অধিকাংশ এলাকাবাসীর ভোগান্তির কারণ জলাবদ্ধতা-জলজট। অপরিকল্পিত নগরায়ণ, আর নির্বিচারে জলাধার ভরাটের মাশুল দিতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এরই মধ্যে নতুন করে আবারও হাত পড়েছে নগরের জলে। রাজধানীর বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন জলাধারটি ভরাট করে সেখানে চলছে স্টেশনের বর্ধিতাংশ নির্মাণের কাজ।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, সম্প্রসারিত রেল লাইনের জন্য এখানে হবে প্লাটফর্ম তিন ও চার। তবে ঢাকা উত্তর সিটি বলছে, এ জলাধার ভরাট করায় উত্তরা ও এয়ারপোর্ট এলাকায় স্টর্ম ড্রেনেজের পানি নিষ্কাশনে বাধা পড়বে, দেখা দেবে জলাবদ্ধতা।
ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, নতুন দেখলাম যে, রেলওয়ে নিজেদের সিদ্ধান্তে ইচ্ছামতো খাল ভরাট করছে। এটা সপ্তম আশ্চর্যের মতো একটা বিষয়! এটা হলে এ এলাকা ডুবে যাবে এবং এ অঞ্চলের মানুষ গলা পানিতে থাকবে। তবে এসব রেলওয়ের দেখার বিষয় না বলে সাফ জবাব রেলের। এখন দুই দফতরে চলছে চিঠি চালাচালি।
রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী দাবি করেন, ‘পর্যাপ্ত নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখা হবে। কিন্তু সিটি করপোরেশন যদি মনে করে উত্তরা থেকে আমরা এ ব্যবস্থা করবো সেটা তো হবে না। আমাদের দেখার বিষয় সেটা না। কোনটা ঠিক, আর কোনটা ঠিক না, তা উল্লেখ করে আমরা তাদের চিঠি দিয়েছি।’
যদিও রেলের মহাপরিচালকের কথার প্রতিবাদ জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘আমরা বলেছি ৬ ফুট পাইপ ব্যবহার করতে। কিন্তু তারা দেড় ফুট পাইপ ব্যবহার করছে। এজন্যই জলাবদ্ধতা হবে। আমাদের পরামর্শে কাজ করলে জলাবদ্ধতা অনেকটা কমানো যেতো। আমরা আশা করবো এটা তারা বুঝবে।’
এদিকে, রাজউকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ আশরাফুল ইসলাম বলছেন, ড্যাপের নকশা অনুসারে এটি উন্মুক্ত জলাধার হিসেবে চিহ্নিত করা। তাই কোনোভাবেই অনুমতি ছাড়া তা ভরাট করা যাবে না। সেটা সরকারি প্রতিষ্ঠান হোক বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। এরই মধ্যে ভরাট হওয়া আরো জলাধার রক্ষায় উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।
নিউজ২৪/ সংবাদদাতা/ ইলিয়াস