অনলাইন ডেস্ক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে এক শিশুর জিহ্বা-ঠোঁট কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিবেশী এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গতকাল রোববার বিকেলে অভিযুক্ত প্রতিবেশী কাউসার মিয়াকে জেলা শহরের আমিনপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আহত শিশুর নাম সাইম হোসেন (১০)। সে উপজেলার নাটঘর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের মালেক মিয়ার ছেলে। শিশুটি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। কেটে যাওয়ায় তার জিহ্বা ও ঠোঁটে ১০টি সেলাই দেওয়া হয়েছে বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। এ ঘটনায় চারজনকে আসামি করে মামলা করেছেন শিশুটির চাচা।
আহত শিশুর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, এক বছর ধরে বাড়ির জায়গার সীমানা নিয়ে সাইমের বাবা মালেক মিয়ার সঙ্গে পাশের বাড়ির কাউসার মিয়ার বিরোধ চলছিল। গত শুক্রবার সকালে কাউসার মিয়া বিরোধপূর্ণ জায়গার সীমানাখুঁটি তুলে আরেক জায়গায় বসিয়ে দেন। ঘটনাটি মালেক মিয়ার ছেলে সাইম দেখে ফেলে বাড়িতে গিয়ে পরিবারের কাছে জানায়। এর কিছুক্ষণ পর সাইম বাড়ি থেকে বের হলে তার ওপর হামলা করে কাউসার ও তাঁর লোকজন। একপর্যায়ে তাঁরা শিশুটির ঠোঁট ও জিহ্বায় ছুরিকাঘাত করেন। পরিবারের লোকজন সাইমকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক রতন কুমার ঢালী বলেন, শিশুটি জিহ্বা ও ঠোঁটে আঘাত পেয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার জিহ্বায় সাতটি ও ঠোঁটে তিনটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তার অবস্থা উন্নতির দিকে।
আহত শিশুর মা পারভীন বেগম বলেন, ‘আমার ছেলের জিহ্বা ও ঠোঁট নৃশংসভাবে কেটে দেওয়া হয়েছে। এখন আমার ছেলে হাসপাতালে কাতরাচ্ছে। তাকে এখনো কিছু খাওয়াতে পারছি না। এ ধরনের বর্বরতা মেনে নেওয়া যায় না। আমি ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি।’
পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, দুই প্রতিবেশীর মধ্যে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। সে সময় শিশু সাইম আঘাতপ্রাপ্ত হয় এবং জিহ্বার একটি অংশ কেটে যায় বলে হাসপাতাল সূত্রে জানতে পেরেছে পুলিশ। গতকাল বিকেলে অভিযান চালিয়ে জেলা শহরের আমিনপুর থেকে ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত মূল অভিযুক্ত কাউসারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সংবাদদাতা/ ইলিয়াস