অনলাইন ডেস্ক : কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি আবারো বাড়তে শুরু করেছে। ধরলা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপূত্র নদের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে যাচ্ছে। টানা ১০ দিন ধরে পানিবন্দি এসব এলাকার মানুষেরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
এছাড়া বাড়ছে পানিবাহিত রোগের প্রকোপ। স্থানীয়রা জানান, চুলা ও খড়ির অভাবে অনেকেই রান্না করতে পারছেন। টানা প্রায় এক মাস এলাকায় কাজ না থাকায় দিনমজুরদের হাতের মজুদ ফুরিয়ে গেছে। তারা এখন সরকারি ত্রাণের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন।
একটানা পানিতে থাকার কারণে পানিবাহিত রোগ-ব্যাধিও বেড়ে গেছে। সদর উপজেলার রলাকাটার চরের বেসরকারি সংস্থার স্বাস্থ্যকর্মী হাসিনা বেগম জানান, বন্যার কারণে চরের মানুষের জ্বর, সর্দি-কাশি ও ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। বেশি অসুস্থ রোগীদের নৌকাযোগে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। এদিকে নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষের দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে নদ-নদীর ভাঙন।
কুড়িগ্রাম সদরের বাংটুর ঘাট ও সারডোব এলাকা এবং চিলমারীর কাঁচকোল ও রাজারহাটের কালিরহাট এলাকায় ঝুঁকিতে রয়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। ভাঙনের আশঙ্কা রয়েছে তিস্তার উপর নির্মিত বুড়িরহাট স্পারের অবশিষ্ট অংশও। এসব এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জিওব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করছে।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানিয়েছেন, এবার বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই ত্রাণের মজুদ বাড়ানোর পাশাপাশি বিশুদ্ধ পানি সরবারহ ও পানিবাহিত রোগের চিকিৎসার উপর জোর দেয়া হয়েছে।
সংবাদদাতা/ ইলিয়াস