অনলাইন ডেস্ক : রোববার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে জরুরি সেবা কার্যক্রম শুরু হলেও বন্ধ রয়েছে বহির্বিভাগে চিকিৎসা সেবা। সোমবার সকাল থেকে দেশের সবচেয়ে বৃহৎ সরকারি এ চিকিৎসাকেন্দ্রের বহির্বিভাগে সেবা বন্ধ রেখেছেন চিকিৎসকরা। আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের এক নেতা জানিয়েছেন, আগামী সাত দিন সারাদেশে হাসপাতালে বহির্বিভাগে চিকিৎসা সেবা বন্ধ থাকবে। এতে চাপ পড়েছেন জরুরি বিভাগ ও বহির্বিভাগে সেবা নিতে আসা রোগীরা। জরুরি বিভাগের লাইনে দাঁড়িয়ে রোগীদের সেবা নিতে দেখা গেছে।
আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা বলেছিলেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা কর্মবিরতি অব্যাহত রাখবেন। এরপর বিষয়টি নিয়ে চিকিৎসকদের মধ্যে আলোচনা চলতে থাকে। রাত ৮টার দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসকেরা কাজে যোগ দেন। সড়ক দুর্ঘটনায় আহত এক শিক্ষার্থীর চিকিৎসায় অবহেলায় মৃত্যুর অভিযোগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শনিবার হট্টগোল হয়। সে সময় এক চিকিৎসককে মারধরের ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি চিকিৎসকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ঘোষণা দেন।
শনিবার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তিনটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জেরে উত্তপ্ত হয় প্রতিষ্ঠানটি। গতকাল রোববার সারাদেশে সরকারি হাসপাতালে ‘কমপ্লিট শাটডাউনের’ ডাক দেন চিকিৎসকরা। শনিবার ঢামেকে কী ঘটেছিল– তার খোঁজ নিতে গিয়ে জানা যায়, সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত এক ছাত্রের চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ তুলে অপারেশন থিয়েটারে ঢুকে তিন চিকিৎসককে মারধর করেন কিছু শিক্ষার্থী। বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) ওই ছাত্রের নাম আহসানুল হক দীপ্ত। তাঁর মৃত্যুর জের ধরে ভাঙচুর করা হয় হাসপাতালের নানা সরঞ্জাম। দ্বিতীয়ত, খিলগাঁওয়ের সিপাহীবাগে দু’পক্ষের সংঘাতের ঘটনায় আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে ঢামেকের জরুরি বিভাগের সামনে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আরেক পক্ষ এসে রোগীর ওপর হামলা করে। এতে আতঙ্ক ছড়ায় হাসপাতালে। তৃতীয় আরেকটি ঘটনায় রোগীর চিকিৎসার অবহেলার অভিযোগ এনে হাসপাতালে ভাঙচুর করে স্বজনরা।
এক দিনে এমন তিনটি অপ্রীতিকর ঘটনার সূত্র ধরে শনিবার রাতে বিক্ষোভ করেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। এতে অন্যান্য চিকিৎসক ও হাসপাতালের কর্মীরা একাত্মতা প্রকাশ করেন। জড়িতদের গ্রেপ্তারসহ কয়েকটি দাবিতে গতকাল সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢামেকে বন্ধ ছিল সব ধরনের চিকিৎসা কার্যক্রম।
সংবাদদাতা/ ইলিয়াস