সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, সংসদ সচিবালয়ে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বড় ধরনের সংস্কার প্রয়োজন। অফিসের সরঞ্জামগুলো নতুন করে সাজাতে হবে। সে ক্ষেত্রে চেয়ার-টেবিল-এসিসহ লুট হওয়া মালপত্র কিছু পাওয়া গেলেও তার বেশির ভাগই ব্যবহার অযোগ্য হয়ে গেছে। ফলে অনেক মালপত্র কেনাকাটার প্রয়োজন হবে।
এ ক্ষেত্রে বরাদ্দও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু সেসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়ার মতো কেউ নেই। কারণ সংসদ বহাল না থাকায় চিফ হুইপ ও হুইপদের পদ শূন্য। ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু দায়িত্বে থাকলেও তাঁকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ৫ আগস্টের পর অফিস করেননি। সর্বশেষ তিনি গত ২ সেপ্টেম্বর স্পিকারের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। আর সংসদ সচিব কে এম আব্দুস সালামকে গত ১৪ আগস্ট প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এদিকে কর্মকর্তাদের অনেকেই আতঙ্কে অফিস এলাকায় আসছেন না। কারণ সংসদ সচিবালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তাকে সংসদ ভবনে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের নির্যাতিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাঁরা জাতীয় সংসদ থেকে নিয়মবহির্ভূত ও অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুতির প্রতিবাদে এবং চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে সংসদ ভবনের সামনে মানববন্ধনও করেছেন।
তাঁদের অভিযোগ, অবৈধভাবে আওয়ামীপন্থী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই অনেককে তাঁরা চাকরি দিয়েছেন। তাঁরা এখন উপসচিব ও যুগ্ম সচিব পর্যায়ে চলে গেছেন। তাঁদের চাকরির কোনো ভিত্তি নেই। অথচ নিময়তান্ত্রিকভাবে চাকরি পাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সংসদ সচিবালয় থেকে বিতাড়িত হয়েছেন।
সংবাদদাতা/ ইলিয়াস