যারা দেলুয়ার হোসেন ও গোলাম নবীর দ্বারা মামলা, জমি দখল ও চাঁদাবাজের শিকার হয়েছেন। দেলুয়ার হোসেনের নেতৃত্বে সিন্ডিকেটের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যক্তির জমির মালিকানা দাবি করে সাইনবোর্ড টানিয়ে বিবাদের সৃষ্টি করে। এরপর বিচার সালিশের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়।
দীঘল গ্রামের রফিকুল ইসলাম জানান, ঋণ পরিশোধ করার শর্তে তার কাছ থেকে গোলাম নবী জমি লিখে নিয়েছেন কিন্তু কোন ঋণ পরিশোধ করেনি। মো. হাসান জানান, তার প্রতিবেশী মাসুদুর রহমানের কেয়ারটেকার সেজে জমি সংক্রান্ত বিরোধে মিথা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে গোলাম নবী গং। বাঙ্গালপাড়ার প্রবাসী জয়নাল আবেদিন বলেন,তার জমিতে জোরপূর্বক ছাপড়া ঘর উত্তোলন করে গোলাম নবী। এরপর তা সরিয়ে নিতে তার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন তিনি। দখলের পর মিমাংসার নামে নীরিহ মানুষের কাছ থেকে চাঁদা নেওয়াই তাদের কাজ।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, শিক্ষক দেলুয়ার হোসেনের কর্মকান্ডে আমরাও বিব্রত। সম্মানজনক পেশায় থেকে তাঁর কাছ থেকে অপ্রত্যাশিত ঘটনা মোটেও প্রত্যাশা করিনা। অভিযোগের বিষয়ে শিক্ষক দেলুয়ার হোসেন বলেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন। প্রতিপক্ষ অকারণে অসত্য তথ্য প্রকাশ করছে। গোলাম নবী বলেন, আমি অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে আমাকেই মানুষ উল্টো মামলায় ফাসিয়ে দেয়। তবে আমি কোনো ঘটনার সাথে জড়িত নই।
ধামরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ মোমেনুল ইসলাম বলেন, দেলুয়ার হোসেন ও গোলাম নবীর বিরুদ্ধে ধামরাই থানায় চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলা ও জিডি রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছিল।
সংবাদদাতা/ ইলিয়াস