প্রাণিজ খাদ্য
কলিজা, ডিম, দুধ, মাংসের মতো প্রাণিজ খাদ্য থেকে খুব সহজে হিমোগ্লোবিন তৈরি হয় এবং তা শরীরে খুব দ্রুত শোষণ হয়। উদ্ভিজ্জ উৎস থেকে সে পরিমাণে হিমোগ্লোবিন তৈরি হতে পারে না বলে প্রাণিজ উৎসকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়।
রঙিন সবজি ও ফল
ডালিম, আপেল, বিট, লাল আঙ্গুর, ব্রকলিতে রয়েছে আয়রন, ক্যালসিয়াম ও ফাইবার। এগুলো রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সহায়ক। এগুলোর মধ্যে ডালিম খুব দ্রুত রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ায়।
সামুদ্রিক মাছ থেকে লৌহ পাওয়া যায়। যা হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর জন্য খুবই উপযোগী।
খেজুর, কিসমিস, ডুমুর
খেজুর ও কিসমিস একত্রে আয়রন ও ভিটামিন সি-এর উপযুক্ত উৎস। অন্যদিকে ডুমুরে রয়েছে যথেষ্ট মাত্রায় আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন এ ও ফোলেট। প্রতিদিন সকালে তিনটি করে খেজুর, একমুঠো কিসমিস ও শুকনো ডুমুর মিশিয়ে খেলে সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। শরীরে এনার্জিও থাকে চূড়ান্ত। তবে ডায়াবেটিক রোগীরা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এই ধরনের খাবার খাবেন না।
তিল
কালো তিলে রয়েছে আয়রন, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, কপার, জিঙ্ক, সেলেনিয়াম, ভিটামিন বি৬, ই ও ফোলেট।
সজনে পাতা
জিঙ্ক, লোহা, তামা, ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজ সহ ভিটামিন এ, বি, সি দ্বারা পূর্ণ সজনে পাতা। সজনে শাক প্রতিদিন ভাতের সঙ্গে খাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা যথেষ্ট বেশি।