ঢালিউডের মহানায়ক বুলবুল আহমেদকে নিয়ে নির্মিত হতে যাচ্ছে চলচ্চিত্র। নাম ঠিক না হওয়া এ চলচ্চিত্র নির্মাণ করবেন তাঁর কন্যা তাজরিন ফারহানা ঐন্দ্রিলা। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য তিনি সিনেমার ওপর পড়াশোনাও করেছেন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। এমনটিই জানালেন এ অভিনেত্রী।
এর আগে তিনি বুলবুল আহমেদকে নিয়ে একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করেছিলেন। ‘বুলবুল’ গবেষক হিসেবে পুরস্কারও পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ঐন্দ্রিলা বলেন, ‘বাবাকে নিয়ে আমার অনেক স্বপ্ন ও পরিকল্পনা রয়েছে। এ পরিকল্পনার একটি অংশ সিনেমা নির্মাণ। মূলত আমার পড়াশোনা ছিল মার্কেটিং বিষয়ে। শুধু বাবাকে নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করব বলে ফিল্ম বিষয়ে ভর্তি হয়েছিলাম। এখন নিজেকে উপযুক্ত মনে করছি, তাই ঘোষণা দিয়েছি চলচ্চিত্র নির্মাণের।’
ঐন্দ্রিলা এরই মধ্যে চিত্রনাট্যের কাজ শুরু করেছেন। এর জন্য বুলবুল আহমেদ সময়কার চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট যারা বেঁচে আছেন, তাদের সঙ্গেও দেখা করবেন বলে জানান ঐন্দ্রিলা। প্রথমে চিত্রনাট্যটি সরকারি অনুদানের জন্য জমা দেওয়া হবে। সেটি না পেলে প্রযোজক খুঁজবেন ঐন্দ্রিলা। তিনি বলেন, ‘অনুদান পাই বা না পাই, বড় পরিসরেই সিনেমাটি নির্মাণ করব। আশা করছি, ফান্ড জোগাড় হয়ে যাবে।’ ২০২৫ সালের শেষের দিকে শুটিং শুরু করতে চান ঐন্দ্রিলা। এর আগে পাত্র-পাত্রী নির্বাচন করবেন।
অভিনেতা, নির্মাতা ও প্রযোজক বুলবুল আহমেদের জন্ম ১৯৩৯ সালের ৪ সেপ্টেম্বর এবং মৃত্যু ২০১০ সালের ১৫ জুলাই। ১৯৬৮ সালে ‘পূর্বাভাস’ নাটকের মধ্য দিয়ে তাঁর অভিনয় জীবন শুরু। বড় পর্দায় অভিষেক ১৯৭৩ সালে ‘ইয়ে করে বিয়ে’ চলচ্চিত্র দিয়ে। তিনি চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।
তাঁর উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র ‘ধীরে বহে মেঘনা’, ‘সূর্যকন্যা’, ‘সীমানা পেরিয়ে’, ‘রূপালী সৈকতে’, ‘মোহনা’ ও ‘মহানায়ক। চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘দেবদাস’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি চলচ্চিত্র বোদ্ধাদের প্রশংসা কুড়ান।
অভিনয়ের পাশাপাশি কয়েকটি সিনেমাও পরিচালনা করেছেন তিনি। তাঁর পরিচালিত উল্লেখযোগ্য ছবি হচ্ছে ‘ওয়াদা’, ‘মহানায়ক’, ‘ভালো মানুষ’, ‘রাজলক্ষ্মী-শ্রীকান্ত’, ‘আকর্ষণ’, ‘গরম হাওয়া’, ‘কত যে আপন’ প্রভৃতি। এর মধ্যে শেষের চারটি ছবি প্রযোজনাও করেন।৪৪ বছরের মিডিয়া জীবনে বুলবুল আহমেদ প্রায় ৩০০ নাটক এবং দুই শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন। তাঁর অভিনীত সর্বশেষ চলচ্চিত্র ‘দুই নয়নের আলো’।
সংবাদদাতা/ ইলিয়াস