বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত মেনে নিলেন বাচ্চু

শিরোনাম

প্রচ্ছদ

বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত মেনে নিলেন বাচ্চু

প্রকাশিতঃ

অনলাইন ডেস্ক : দলীয় সিদ্ধান্ত মাথা পেতে নিয়েছেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা ফখরুদ্দিন আহমেদ বাচ্চু। পাশাপাশি এ ঘটনায় সাংগঠনিক ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটির গঠনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তদন্তে আমি নির্দোষ প্রমাণিত হলে আমার বিরুদ্ধে নেওয়া সাংগঠনিক ও আইনগত ব্যবস্থা প্রত্যাহারের অনুরোধ করছি। আর আমি বিএনপির একজন পরীক্ষিত কর্মী। যত দিন বেচে থাকব, বিএনপির একজন কর্মী হিসেবে মানুষের সেবা করে যাব এবং সামাজিক কাজ করে যাব। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকার সেগুনবাগিচায় ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির বহিষ্কৃত এই নেতা বলেন, ‘ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলা একটি শিল্প ও কলকারখানা অধ্যুষিত এলাকা। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা তৈরি না হয় তার জন্য স্থানীয় সব পক্ষ একত্রিত হয়ে প্রকৃত ব্যবসায়ী এবং বিএনপির নেতাকর্মীরা এলাকার শিল্প-প্রতিষ্ঠানে বৈধভাবে ব্যবসা করার জন্য আমার নিকট সুপারিশের আবেদন করেন। আর আমি স্থানীয় নেতাকর্মী ও প্রকৃত ব্যবসায়ীদের বৈধভাবে ও কম্পানির নিয়মের মধ্যে ব্যবসা পরিচালনার সুপারিশ করেছি মাত্র।

যাতে ব্যবসা দখলের নামে কোনো বিশৃঙ্খল তৈরি না হয়। যাতে কোনো হামলা-দখলের নৈরাজ্য সৃষ্টি না হয়। এখানে উল্লেখ্য যে, আমার পরিবারের এবং আত্মীয়স্বজনের কাউকে এ ব্যবসায় যুক্ত করিনি।’ ফখরউদ্দিন আহমেদ বাচ্চু বলেন, ‘এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং নৈরাজ্য থেকে সবাইকে নিবৃত রাখতে ব্যবসা করার জন্য ওই সুপারিশটি আমি সরল মনে করেছি। আমার অন্য কোনো অসৎ উদ্দেশ্য ছিল না। এই ঘটনায় দলীয় ভাবমূর্তি যদি ক্ষুণ্ন হয়ে থাকে ভালুকাবাসী ও দেশবাসী যদি মনে কষ্ট পেয়ে থাকেন বিনীতভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি এবং ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’

বাচ্চু বলেন, ‘৫ আগস্টের পরিস্থিতির পর দলীয় নেতাকর্মীসহ উপজেলা পরিষদ, থানাসহ সরকারি স্থাপনা দুর্বৃত্তদের হাত থেকে রক্ষার জন্য দলীয় নেতাকর্মী দিয়ে পাহারা বসিয়েছি। বিনা ভোটে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী ও ভোটচোর এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর মেয়রসহ জনপ্রতিনিধিরা পালিয়ে যাওয়ার পর বিগত আন্দোলনে হামলাকারী সন্ত্রাসী ও দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে ৫-৬টি মামলা করার ব্যবস্থা করেছি।’ প্রসঙ্গত, গত ২ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও ভালুকা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফখরুদ্দিন আহমেদ বাচ্চুকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে দলের ত্রাণ তহবিলের দেওয়া ১০ লাখ টাকাও ফেরত দেওয়া হয়। এর আগে তার বিরুদ্ধে মামলাও দেয় বিএনপি।’

সংবাদদাতা/ ইলিয়াস