অনলাইন ডেস্ক : গণহত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নবনিযুক্ত প্রধান কৌঁসুলি তাজুল ইসলাম। আজ রোববার দায়িত্ব গ্রহণের পর ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
গত ৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে গণহত্যা চালানোর অভিযোগে ভারতে অবস্থান করা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অন্তত ১১টি অভিযোগ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় দায়ের করা হয়। বর্তমানে সেগুলো তদন্ত পর্যায়ে রয়েছে।
শেখ হাসিনার প্রতি ইঙ্গিত করে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, সম্ভাব্য প্রধান অপরাধী দেশ থেকে পালিয়েছেন। তাঁকে ফিরিয়ে আনার আইনি প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। অধিকাংশ মামলায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের অপরাধী বিনিময় চুক্তি আছে। এর আলোকে তাঁকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। শুধু শেখ হাসিনা নন, গণহত্যায় জড়িত সবার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
তিনি বলেন, গণহত্যার তথ্য-প্রমাণ বিভিন্নভাবে ধ্বংস করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এসব সংরক্ষণ করা এবং আলামত সংগ্রহ করে আইনি কাঠামোয় নিয়ে এসে মামলাগুলো প্রমাণের কাজই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, আসামিরা এখনও পলাতক। অনেকে দেশত্যাগের চেষ্টায় আছেন। তিনি সব ধরনের আলামত তদন্ত সংস্থা বা প্রসিকিউশনের কাছে পৌঁছাতে ছাত্র-জনতাসহ ভুক্তভোগীদের প্রতি আহ্বান জানান।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, আসামিদের প্রতি জুলুম করা হবে না, আবার ছাড়ও দেওয়া হবে না। অপরাধগুলোর মাত্রা এতটাই ভয়াবহ যে, তদন্তকালে আসামিদের গ্রেপ্তার করার প্রয়োজন হবে। দ্রুত ট্রাইব্যুনালকে সক্রিয় করা হবে। আরও প্রসিকিউটর ও তদন্ত সংস্থায় লোক নিয়োগ দেওয়া হবে।
শনিবার চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তাজুল ইসলাম। এ ছাড়া আরও চার আইনজীবীকে প্রসিকিউটর পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন মিজানুল ইসলাম, গাজী এম এইচ তামিম, বি এম সুলতান মাহমুদ ও আবদুল্লাহ আল নোমান।
সংবাদদাতা/ ইলিয়াস