এনবিআর ছাড়াও বাংলাদেশ ফিন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপের বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম খুঁজে বের করতে কাজ করছে। এর আগে এস আলমের কবজায় থাকা ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদ পুনর্গঠন করার পর – নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ। গত ৫ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে মাসুদ বলেন, ইসলামী ব্যাংকের মোট ঋণের অর্ধেকেরও বেশি এস আলম গ্রুপ নিয়েছে। জুন শেষে ব্যাংকটির ঋণস্থিতি দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৭৪ হাজার কোটি টাকার বেশি।
এ ছাড়া এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম ও পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে এক লাখ ১৩ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সংঘবদ্ধ অপরাধ, প্রতারণা, জালিয়াতি ও হুন্ডি কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগ রয়েছে এস আলম ও তার সহযোগী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে।
গত ৩১ আগস্ট সিআইডির মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা আজাদ রহমান বিষয়টি টিবিএসকে নিশ্চিত করে জানান, সিআইডির ফিন্যানশিয়াল ক্রাইম ইউনিট এই অনুসন্ধান করছে। ব্যাংকগুলো থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে এই ব্যাবসায়িক গোষ্ঠী ফায়দা লুটেছে এমন অনেক অভিযোগ রয়েছে।
‘যেভাবে ইসলামী ব্যাংক থেকে ৪৫ হাজার কোটি টাকার ঋণ বের করে নিয়েছে এস আলম গ্রুপ’- এই শিরোনামে গত ১৫ আগস্ট টিবিএসে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে একটি বন্ধ থাকা কারখানা, অস্তিত্ব নেই এমন সব প্রতিষ্ঠান, এমনকি একটি টিনের দোকানের নামে ব্যাংক থেকে হাজারো কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে এস আলম গ্রুপ।
সংবাদদাতা/ ইলিয়াস