অনলাইন ডেস্ক : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকার পতনে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন থানায় ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। তবে রাজধানীর রামপুরা থানায় হামলা চালানো হয় সরকার পতনের আগেই, ১৮ ও ১৯ জুলাই। হামলায় থানাটির স্থাপনা, পাশের পুলিশ ফাঁড়ি ও ফোর্সদের চারটি গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে মামলার আলামত নষ্ট ও লুট হয়।
দেখা যায়, এখনো থানার নিরাপত্তায় রয়েছেন আনসার সদস্যরা। ডিউটি অফিসারের রুমে কয়েকজন আসছেন মামলা ও জিডি করতে। একজন সেবাপ্রার্থী জানান, পুলিশের আচরণে আগের চেয়ে পরিবর্তন হয়েছে। তারা মনোযোগ দিয়ে প্রতিটি ঘটনা শুনেছে, সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
থানার বাইরে দেয়ালে সাঁটানো আছে ‘চাঁদাবাজকে না বলুন’। সেখানে রয়েছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্রদের দুটো মোবাইল নম্বর। এ থেকেই বোঝা যায় পুলিশে পরিবর্তনের আভাস। থানা ভবনের পাশে ৩০-৩৫টি অর্ধভাঙা ও কঙ্কাল মোটরসাইকেল, আশপাশে কয়েকটি পোড়া ও ভাঙাচোরা প্রাইভেটকার। আন্দোলনের আগে এই থানায় জব্দ গাড়ির সংখ্যা ছিল অনেক, হামলার সময় কিছু গাড়ি লুট হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বর্তমানে থানার ওসি (তদন্ত) ও ওসি (অপারেশন) নেই। এক পুলিশ সদস্য জানান, ইদানীং অনেক রাজনৈতিক ঘটনার অভিযোগ আসছে। একদল আরেক দলকে দোষারোপ করছে। অনেক ধৈর্য নিয়ে এগুলো সামাল দিতে হচ্ছে। এ ছাড়া চেকপোস্ট উিউটি ও অপারেশনাল কিছু কাজও করা হচ্ছে। এরপর আসামি ধরে চালান করা হচ্ছে।
সংবাদদাতা/ ইলিয়াস