শুধু ভিসা জটিলতাই নয়, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দেশের জনগণের রোষানলে পড়ার ভয়েও অনেকে ওপারের ছবির প্রস্তাব ফিরিয়ে দিচ্ছেন। গত সপ্তাহে কালের কণ্ঠে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ‘ন ডরাই’ খ্যাত অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামাল বলেন, ‘ভারতের একটি ছবি করার কথা ছিল আমার। দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিচার করে ছবিটা ছেড়ে দিয়েছি। কারণ এখন ভারতের ছবি করলে দেশের মানুষ তা পছন্দ করবে না।’
পরীমনি অভিনীত ‘ফেলুবকশি’র শুটিং শেষ হলেও বাকি ডাবিং। তিনি বলেন, ‘আমার আগের ভিসা নেই। নতুন ভিসা পেতে সমস্যা হচ্ছে। এখন কবে ভিসা পাব, কবে যেতে পারব তা বুঝতে পারছি না।’ কোরবানির ঈদের ব্লকবাস্টার ‘তুফান’-এর প্রযোজক আলফা আই। এই ছবির অভিনয়শিল্পীর তালিকায় রয়েছেন ওপার বাংলার মিমি চক্রবর্তীসহ বেশ কয়েকজন। ছবিটির সিক্যুয়াল তৈরির ঘোষণা আগেই দিয়েছেন নির্মাতারা। সেখানেও মিমি থাকবেন, তা অনেকটা জোর দিয়েই বলেছিলেন রায়হান রাফী। গুজব রটেছে, এই ছবির পরের কিস্তিতে থাকছেন না মিমি, তাঁর চরিত্রে স্থলাভিষিক্ত হবেন দেশীয় একজন অভিনেত্রী।
সাম্প্রতিক এই ঘটনাগুলো ও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করলে এটা স্পষ্ট, রাজনীতির মাঠের মতো দুই দেশের চলচ্চিত্রের মেলামেশাও অলিখিতভাবে বন্ধ হতে চলেছে। তবে এখনই আশা হারাতে চান না আলফা আইয়ের কর্ণধার শাহরিয়ার শাকিল। তিনি বলেন, ‘এটা জাতীয় ইস্যু। এটা নিয়ে কথা বলাটা উচিত হবে না। তবে বাংলাদেশ ও ভারতের ইন্ডাস্ট্রি দীর্ঘদিন ধরে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছে। এটা চলতেই থাকবে বলে আমার বিশ্বাস। শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আগের মতোই আছে। সব কিছু স্বাভাবিক হলে আমরা আবার কাজ শুরু করব।’
শাকিলের মতো নির্মাতা রায়হান রাফীও আশাবাদী। বলেন, ‘ভিসা জটিলতা নিয়ে কিছু বলার নেই। এটা স্পর্শকাতর বিষয়। তবে আমি কিন্তু দুই দিন আগে মুম্বাই ঘুরে এলাম। আমার কোনো সমস্যা হয়নি। আসলে বাংলাদেশ এখনো সব কিছু গুছিয়ে উঠতে পারেনি। অন্যদিকে কলকাতায়ও চলছে আন্দোলন। সব মিলিয়ে একটু এলোমেলো। আমার মনে হয়, দুই দেশের রাজনৈতিক কোনো ইস্যু চলচ্চিত্র বা বিনোদনের ওপর আসবে না। এটা নিয়ে অযথা চিন্তা করারও দরকার নেই।’
সংবাদদাতা/ ইলিয়াস