আমি ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হতাম। এখন দেশে আইন-আদালত নিরপেক্ষ হওয়ায় মামলা করেছি।’ এর আগে ৪ আগস্ট বৈষ্যম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে জেলা বিএনপিসহ তার অঙ্গসংগঠনের কার্যালয় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের অভিযোগে মামলা করা হয়। ৫ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলাটি করেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুস সালাম বাবলা। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালসহ আসাদুজ্জামান নূরকে আসামি করা হয়। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সদর থানার সাবেক ওসিসহ মামলার আসামির সংখ্যা ১২৬ জন।অপরদিকে ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে অবৈধভাবে দেশীয় অস্ত্রসহ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার, বলপ্রয়োগ ও ১৮ জুলাই থেকে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা-মামলার নামে ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ চাঁদা দাবির অভিযোগে আদালতে আরেকটি মামলা করা হয় আসাদুজ্জামান নূরসহ নামীয় ৬০ জনের বিরুদ্ধে। ১০ সেপ্টেম্বর মামলাটি করেন নীলফামারী বিএম কলেজের ছাত্র জেলা শহরের পূর্ব কুখাপাড়ার শামীম হোসেনের ছেলে মো. সৌমিক হাসান সোহান।
নীলফামারীতে সাবেক সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূরের বিরুদ্ধে তিনিটি মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর থানার পরির্দশক (তদন্ত) এম আর সাঈদ বলেন, সর্বশেষ (রবিবার) মামলাটির আদালতের আদেশ পেয়েছি। সাত কার্যদিবসের মধ্যে মামলাটি এফআইআর হিসেবে গ্রহণের জন্য আদালতের নির্দেশ আছে। সময়ের মধ্যেই রের্কড সম্পন্ন করা হবে। আগের দুটি মামলা সময়ের মধ্যে রেকড করা হয়েছে বলে জানান তিনি।