কারা মহাপরিদর্শক জানান, অভ্যুত্থানের সময় বেশ কয়েকটি কারাগারের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এবং প্রায় দুই হাজারের বেশি বন্দি কারাগার থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। পালিয়ে যাওয়া অনেক বন্দিকে গ্রেপ্তার করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। পাশাপাশি অনেক আসামি ফিরে এসেছেন।
গত জুলাই অভ্যুত্থানে উত্তাল ছিল বাংলাদেশ। আগস্টে গিয়ে যা থিতু হয় সরকার পতনের এক দফা দাবিতে। দেশ থেকে পালিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৫ আগস্ট বিটিভিতে এ সংবাদ দেখে জেল থেকে পালাতে বিক্ষোভ করতে থাকেন কয়েদিরা। ৬ আগস্ট সফলও হন অন্তত দেড় হাজার কয়েদি। সাতক্ষীরা, শেরপুর ও গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে দেড় হাজার বন্দি পালানোর আগেই ১৯ জুলাই নরসিংদীর কারাগার থেকে পালিয়ে যান ৮২৬ জন বন্দি।
অবশ্য পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকে যেমন স্বেচ্ছায় কারাগারে আবার ফিরে আসেন, তেমনি বেশ কিছু বন্দিকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। তবে এখনো পলাতক ৯২৯ জন। কারা মহাপরিদর্শক বলছেন, যেকোনো মূল্যে এসব কয়েদিকে গ্রেপ্তার করবেন তাঁরা।
আইজি প্রিজন্স বলেন, ‘কারাগারের নিরাপত্তার জন্য দায়দায়িত্ব কারা কর্তৃপক্ষের। যদিও বাইরের কোনো আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সহায়তা নেওয়া হয়। তবে ওই সময়টায় আমরা সহায়তা পাইনি। আপনারা জানেন যে পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনী ওই সময় আমাদের সহায়তা করতে পারেনি, যে কারণে ঘটনাগুলো ঘটেছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘পলাতক বন্দিরা যদি দেশের মধ্যে থাকে অবশ্যই তাঁদের গ্রেপ্তার করা হবে। আমাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী এরই মধ্যে বেশ কয়েকজন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকিরাও হবেন আশা করছি।’
সংবাদদাতা/ ইলিয়াস