অনলাইন ডেস্ক : জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর, সাবেক এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ও শেখ হাসিনার সাবেক এপিএস গাজী হাফিজুর রহমান লিকুর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার তাদের অবৈধ সম্পদের বিষয়ে তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের তথ্য অনুযায়ী, অধ্যাপক সৌমিত্র শেখর ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়ায় ভর্তি বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে।
অপরদিকে, চট্টগ্রাম-১৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুদকের প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, ২০১৪ সালে হলফনামা অনুযায়ী তার বার্ষিক আয় ছিল ১৫ হাজার টাকা। ২০২৪ সাল নাগাদ তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩২ লাখ টাকা।
এছাড়া, তার মালিকানাধীন ৩৭ লাখ টাকা মূল্যের একটি টয়োটা প্রাডো জিপ ও ৮৪ লাখ টাকা মূল্যের টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার স্টেশন ওয়াগনের খোঁজ পাওয়া গেছে। তার আরও ৪ একর পৈতৃক জমি, রাজউকের বরাদ্দ করা ৩ কাঠা প্লট, ১৪ গন্ডা অকৃষি জমি, ৪ কাঠা প্লট এবং চকবাজার সুপার মার্কেটে একটি দোকান। তার স্ত্রী ঢাকার কাফরুলে একটি পাঁচতলা বাড়ি এবং ১৮৭২ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাটের মালিক।
সাবেক এমপি মোস্তাফিজ ও তার আত্মীয়রা নিয়োগ বাণিজ্য ও দুর্নীতির মাধ্যমে প্রচুর সম্পদ অর্জন করেছেন বলে দুদক প্রমাণ পেয়েছে।
এদিকে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এপিএস থাকা অবস্থায় গাজী হাফিজুর রহমান লিকু ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল সম্পদ অর্জন করেছেন বলে প্রমাণ পেয়েছে দুদক।
তিনি এবং তার স্ত্রী মোহাম্মদপুরের মধু সিটিতে ও উত্তরায় একটি সরকারি প্লট অবৈধভাবে অধিগ্রহণ করেন এবং গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে ‘মেসার্স রাফি অ্যাগ্রো অ্যান্ড ফিশারিজের’ নামে কয়েকশ বিঘা জমির মালিক হয়েছে।
গোপালগঞ্জে পৈতৃক জমিতে তার পাঁচতলা বাড়ি, মোহাম্মদপুরে ছয়তলা ভবন, কুয়াকাটা লাইট হাউসের কাছে ওশান ব্লু রিসোর্টে বিনিয়োগ এবং তার শ্যালকের মালিকানাধীন ছয়তলা আবাসিক ও ১০ তলা বাণিজ্যিক ভবনের প্রমাণ পেয়েছে দুদক।
সংবাদদাতা/ ইলিয়াস