অনলাইন ডেস্ক : সোনারগাঁর কাঁচপুরে একটি চায়ের দোকানে সম্প্রতি এক সন্ধ্যায় বিভিন্ন পেশার ২০ থেকে ২৫ জন মানুষ বসে চা পান করছিলেন। সেখানে এটা-সেটা আলোচনার পাশাপাশি উঠে আসে নারায়ণগঞ্জের ওসমান পরিবারের নানা অপকর্মের ফিরিস্তি। এই একটি চায়ের দোকানই শুধু নয়, গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে জেলার সর্বত্র মানুষের মুখে মুখে ওসমান পরিবারের নানা অপকর্মের কাহিনি। দল হিসেবে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকাল থেকে দেশের বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে ওসমান পরিবারের ভূমিকা নানাভাবে আলোচিত-সমালোচিত।
র্যাব-১১-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা জানান, গ্রেপ্তারের পর আজমেরী ওসমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী কাজল হাওলাদার আদালতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজমেরী ওসমানের নেতৃত্বে তাঁর টর্চার সেলে ত্বকীকে হত্যা করা হয়েছে বলে আদালতে জানান তিনি। পরে র্যাব সদস্যরা আজমেরী ওসমানের টর্চার সেল ও হত্যাকাণ্ডের স্থান পরিদর্শন করেছেন।
ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বী অভিযোগ করে বলেন, ত্বকী হত্যার সাড়ে ১১ বছর পর বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ত্বকী হত্যাকাণ্ড বিচারের উদ্যোগ নিয়েছে। ওসমান পরিবার যে খুনি পরিবার, তা আবারও প্রমাণিত হলো। ২০১৩ সালের ৬ মার্চ ত্বকী নিখোঁজ হয়। ৮ মার্চ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ত্বকীর বাবার অভিযোগ, ক্ষমতার দাপটে গত সাড়ে ১১ বছর ত্বকী হত্যাকাণ্ডের বিচারকাজ বন্ধ রাখেন সাবেক এমপি শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমান। জেলাবাসী বর্তমানে আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ওসমান পরিবারকে দায়ী করে তাদের শাস্তির দাবি করছে। সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান জানান, ওসমান পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে ভয়ভীতি দেখিয়ে এত দিন সোনারগাঁয় সব ধরনের চাঁদাবাজি ও অপকর্ম করেছে আওয়ামী ক্যাডাররা।
সংবাদদাতা/ ইলিয়াস