অনলাইন ডেস্ক : চোটের কারণে এবাদত হোসেন ও তাসকিন আহমেদ খেলতে না পারায় টেস্টের পেস বোলিং ইউনিটে কিছুটা শূন্যতা তৈরি হয়েছিল। দেশে খেলা থাকায় স্পিন বোলিং দিয়ে সে ঘাটতি পুষিয়ে নেওয়া গেলেও ভাবনায় ফেলেছিল বিদেশ সফর। সেই মুহূর্তে নির্বাচকরা হাসান মাহমুদকে টেস্ট দলে বিবেচনা করেন বিকল্প বোলার হিসেবে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হোম সিরিজের দলে নেওয়া হয় তাঁকে। প্রথম টেস্টের পর নাহিদ রানা আর মুশফিক হাসান চোটে পড়া কপাল খুলে দেয় হাসানের। চট্টগ্রামে টেস্ট অভিষেকে নিজের জাত চেনান ম্যাচে ছয় উইকেট নিয়ে। সেই হাসান এখন দলের সেরা বোলার। বোলিংয়ের পাওয়ার হাউস।
হাসান বিদেশের মাটিতে ভালো করছেন। পর পর দুই টেস্টে ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়া দেশের দ্বিতীয় পেসার তিনি। প্রথমজন হলেন রবিউল ইসলাম। ২০১৩ সালে জিম্বাবুয়ের হারাতে ৬ ও ৫ উইকেট ছিল তাঁর। যদিও এই রেকর্ড ছাপিয়ে গেছে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ভারতের মাটিতে পাঁচ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব। ২০১৭ ও ২০১৯ সালে ভারতে যে তিনটি টেস্ট ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ, সেখানে কোনো বোলারেরই ইনিংসে পাঁচ উইকেট ছিল না। বিশ্বের অন্যতম সেরা দুটি দল পাকিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে ভিন্ন দুটি ভেন্যুতে পাঁচ উইকেট পেলেন হাসান। পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে দ্বিতীয় টেস্টে বাজিমাত করেন। সিম ডেলিভারিতে দুই দিকে বল মুভ করার দক্ষতা প্রদর্শন করে হৃদয় জিতে নিয়েছিলেন সমর্থকদের। চেন্নাই টেস্টে দলের ব্যাটিং ব্যর্থতার আগে দর্শক দেখেছেন হাসান শো।