ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সাহনুর ইসলাম জানান, গত ৭ সেপ্টেম্বর রিফা ও শিফাকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে আলাদা করা হয়। বিভিন্ন বিভাগের ৮০ জন চিকিৎসক প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে এই অস্ত্রোপচার করেন। বাদশা ও মাহমুদা দম্পতির সন্তান ১৫ মাসের রিফা ও শিফার বাড়ি বরগুনার বেতাগী উপজেলায়। এই দম্পতির ছয় বছরের আরো এক মেয়ে আছে। বাদশা ঢাকার বড়বাগ এলাকার একটি মেসে থেকে গার্মেন্টসে চাকরি করেন।
ডা. সাহনুর বলেন, ‘কখনো কখনো জোড়া লাগানো যমজদের দুজনের কাউকে রক্ষা করা যায় না। কখনো একজনকে রক্ষা করা সম্ভব হয়।’প্রেস ব্রিফিংয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। রিফা ও শিফার বাবা বাদশা বলেন, ‘ওরা যখন মায়ের গর্ভে ছিল তখন চিকিৎসক জানান, তাদের যমজ সন্তান হবে। কিন্তু জন্মের সময় জানা যায় শিশু দুটি একে অপরের সঙ্গে জোড়া লাগানো।’