নগরবাসী জানায়, দেশে নানা বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যে ডেঙ্গুর প্রকোপের বিষয়টি অনেকটা আড়ালে পড়ে গেছে। প্রতিনিয়ত মশার উপদ্রব বাড়ায় চিন্তিত তারা। সিটি করপোরেশন থেকে যে মশার ওষুধ দেওয়া হয় তা নিয়ে আছে নানা অভিযোগ। সিটি করপোরেশন বলছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর এনেক্স ভবনে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে ক্ষতি হয় মশক নিধন সরঞ্জামের। ফলে মশক নিয়ন্ত্রণে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তবে শিগগিরই এর সমাধানে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. পল্লবী রানী বলেন, ‘এনেক্স ভবনে আগুন দেওয়ার আগে ১০টি ফগার মেশিন ও ৪৫টি হ্যান্ড স্প্রে থাকলেও বর্তমানে ৯টি ফগার মেশিন ও ২০টি হ্যান্ড স্প্রে দিয়ে ৫৫ জন কর্মচারী ৩০টি ওয়ার্ডে মশক নিধন কার্যক্রম চালাচ্ছে। তবে ৩০টি ফগার মেশিন ও ৯০টি হ্যান্ড স্প্রের চাহিদা দিয়ে একটি টেন্ডার দেওয়া হয়েছে।’
শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম জানান, ৫০০ শয্যার হাসপাতালে ৩ হাজার রোগীর সেবা দেওয়ার পর ডেঙ্গু রোগীদের নিয়ে বিপাকে তারা। আক্রান্ত রোগীদের বেশিরভাগ ঢাকা থেকে আগত। ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড চালু করা সম্ভব হয়নি। নানান প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছেন তারা।’
সংবাদদাতা/ ইলিয়াস