MENU

আজকের বাংলা তারিখ

  • আজ বুধবার, ১৬ই অক্টোবর, ২০২৪ ইং
  • ১লা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (হেমন্তকাল)
  • ১২ই রবিউস-সানি, ১৪৪৬ হিজরী
  • এখন সময়, দুপুর ২:৫৭
Search
Close this search box.
ইসলামী ব্যাংকের ৮২% শেয়ার জব্দ, হু হু করে বাড়ছে দাম

ইসলামী ব্যাংকের ৮২% শেয়ার জব্দ, হু হু করে বাড়ছে দাম

প্রকাশিতঃ

অনলাইন ডেস্ক : ইসলামী ব্যাংকের প্রায় ৮২ শতাংশ শেয়ারই এখন অবরুদ্ধ। এসব শেয়ার রয়েছে ব্যাংকটির মালিকানায় থাকা এস আলম (সাইফুল আলম) পরিবার ও তাদের নামে–বেনামে তৈরি করা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে। এ কারণে দেশের পুঁজিবাজারে ব্যাংকটির লেনদেনযোগ্য শেয়ারের পরিমাণ কমে গেছে। ফলে এটির শেয়ারের দামও হু হু করে বাড়ছে। মাত্র দেড় মাসেই ব্যাংকটির শেয়ারের দাম দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। এ অবস্থায় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) গতকাল বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষকে ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।

বিএসইসির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারের দাম ও লেনদেন অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে, যা খুবই সন্দেহজনক। গত ৬ আগস্ট থেকে গতকাল পর্যন্ত অস্বাভাবিক এ মূল্যবৃদ্ধির ঘটনা ঘটেছে। এ কারণে উল্লেখিত সময়ের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনে কোনো ধরনের কারসাজি, সুবিধাভোগী লেনদেনসহ সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। ডিএসইকে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ব্যাংকটির শেয়ারের সন্দেহজনক লেনদেন থেকে বিরত থাকার জন্য ব্রোকারেজ হাউসের প্রধান ও অনুমোদিত প্রতিনিধি বা ট্রেডারদের সতর্ক করতেও ডিএসইকে নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, ৬ আগস্ট থেকে গতকাল পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারের দাম প্রায় ৩৮ টাকা বা ১১৬ শতাংশ বেড়েছে। অর্থাৎ দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দেড় মাসে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। বাজার–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সরকার বদলের পর ইসলামী ব্যাংককে এস আলমমুক্ত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর পর থেকে ব্যাংকটির শেয়ারের দাম হু হু করে বাড়তে শুরু করে। এ সময়ে শেয়ারটির প্রতি বিনিয়োগকারীদের বাড়তি আগ্রহ তৈরি হয়। বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তাঁরা বলছেন, ইসলামী ব্যাংককে এস আলমমুক্ত করার পর দেশি–বিদেশি পুরোনো উদ্যোক্তাদের অনেকে আবারও এটির মালিকানায় ফিরতে পারেন এমনটিই আশা করছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। সেটি হলে বাজার থেকে নতুন করে শেয়ার কিনতে হবে তাঁদের। পাশাপাশি পরিচালনা পর্ষদ বদলের ফলে ব্যাংকটির আর্থিক স্বাস্থ্যেরও উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে অনেক বিনিয়োগকারী কোম্পানিটির শেয়ারের প্রতি আগ্রহী হন।

বিএসইসি, ডিএসই ও ইসলামী ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, নামে–বেনামে ইসলামী ব্যাংকের প্রায় ৮২ শতাংশ শেয়ারই এখন এস আলম গ্রুপের হাতে রয়েছে। যেসব প্রতিষ্ঠানের নামে এসব শেয়ার রয়েছে, সেগুলো হলো জেএমসি বিল্ডার্স, বিটিএ ফাইন্যান্স, প্যারাডাইস ইন্টারন্যাশনাল, এবিসি ভেঞ্চারস, এক্সেল ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং, প্লাটিনাম এনডের্ভাস, এক্সেলশিয়র ইমপেক্স কোম্পানি, গ্র্যান্ড বিজনেস, লায়ন হেড বিজনেস রিসোর্সেস, বিএলইউ ইন্টারন্যাশনাল, আরমাডা স্পিনিং মিলস, কিংসওয়ে এনডের্ভাস, ইউনিগ্লোভ বিজনেস রিসোর্সেস, সোলিড ইনস্যুরেন্স পিসিসি, হলিস্টিক ইন্টারন্যাশনাল, হাই ক্লাস বিজনেস এন্টারপ্রাইজ, ক্যারোলিনা বিজনেস এন্টারপ্রাইজ, ব্রিলিয়ান্ট বিজনেস কোম্পানি, ব্রডওয়ে ইম্পেক্স কোম্পানি, পিকস বিজনেস এন্টারপ্রাইজ, এভাগ্রিন শিপিং, ম্যারাথন ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, কিংস্টোন ফ্লাওয়ার মিলস ও পারসেপ্‌টা এনডের্ভাস। এসব প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা শেয়ার অবরুদ্ধ করা হয়েছে। ফলে বাজারে লেনদেনযোগ্য শেয়ারের পরিমাণ কমে গেছে। তাতে হু হু করে বাড়ছে শেয়ারের দাম।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, গত জুলাই মাসে ব্যাংকটির শেয়ারের প্রায় ৩৬ শতাংশই ছিল উদ্যোক্তা–পরিচালকদের হাতে। আগস্টে সেই সংখ্যা কমে শূন্য দশমিক ১৮ শতাংশে নেমে যায়। ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক এস আলম–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বাদ দেওয়ার পর উদ্যোক্তা–পরিচালকদের শেয়ার ধারণের ক্ষেত্রেও বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। এস আলম–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা পর্ষদে না থাকায় তাঁদের শেয়ারকে এখন আর উদ্যোক্তা–পরিচালকের শেয়ার হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে না। ফলে এখন প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ধারণ করা শেয়ারের পরিমাণ বেড়ে গেছে। জুলাইয়ে যেখানে এই পরিমাণ ছিল ৪৩ শতাংশ। আগস্ট শেষে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৭৩ শতাংশে। এর বাইরে ব্যাংকটির প্রায় ১৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে বিদেশি বিনিয়োগকারী ও ৯ শতাংশ ব্যক্তিশ্রেণির সাধারণ বিনিয়োগকারীর হাতে।

নিয়ম অনুযায়ী, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর উদ্যোক্তা–পরিচালকদের সব সময় ওই কোম্পানির পরিশোধিত মূলধনের ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু পটপরিবর্তনের পর ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দেওয়ায় এ নিয়মের ব্যত্যয় ঘটেছে ইসলামী ব্যাংকের ক্ষেত্রে। বর্তমানে ব্যাংকটির উদ্যোক্তা–পরিচালকের শেয়ার শূন্যের কোঠায় নেমে গেছে। এর বিপরীতে বেড়েছে প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার ধারণের পরিমাণ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ারধারীদের বড় অংশই এস আলম–সংশ্লিষ্ট। এর বাইরে বিদেশি শেয়ারধারীদের মধ্যেও এস আলম–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা রয়েছেন। সব মিলিয়ে এস আলমের হাতেই ব্যাংকটির ৮২ শতাংশ শেয়ার থাকার তথ্য পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। এসব শেয়ার অবরুদ্ধ থাকায় বাজারে শেয়ার সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এতে একটি গোষ্ঠী এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ব্যাংকটির শেয়ারের দাম বাড়াচ্ছে।

 

সংবাদদাতা/ ইলিয়াস

Facebook
WhatsApp
Twitter

এ সম্পর্কিত আরো খবর

সম্পাদকঃ

সুভাষ সাহা

যুগ্ন সম্পাদকঃ

কাজী কবির হোসেন

ঠিকানাঃ

নারায়ণগঞ্জ অফিসঃ
পদ্মা সিটি প্লাজা, কক্ষ নংঃ ২২২, ৫৫/বি
এস, এম মালেহ রোড, টানবাজার
নারায়ণগঞ্জ-১৪০০

যোগাযোগ

ফোনঃ ৭৬৪০৬৯৯
মোবাইলঃ ০১৭১১৫৬১৩৯০
ইমেইলঃ bisherbashi.com.bd@gmail.com

USA OFFICE:

Wasington DC Bureau Chief:
Dastagir Jahangir,
3621 Columbia Pike Suit #104
Arlington USA, VA
22204
Phone: 7036770679
Email: tugrilcz@gmail.com

 

Website Design & Developed By
MD Fahim Haque
<Power Coder/>
www.mdfahim.com
Web Solution – Since 2009

error: Content is protected !!