অনলাইন ডেস্ক : বলা যেতে পারে আমরা এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছি। বিপজ্জনক উত্তপ্ত কড়াইয়ের ওপর দিয়ে দৌড়াচ্ছি। সময়ের বাস্তবতা আমাদের এমন এক রেসের ঘোড়ার ওপর বসিয়ে দিয়েছে, যেই ঘোড়ায় সওয়ার হলে সওয়ারির চোখে স্বপ্ন ছাড়া আর কোনো কিছু থাকে না। ভাবছি, আমরা যেন এখন সব ধরনের ন্যায্যতা নিয়ন্ত্রণ করছি।
ফলে শোষণমূলক রাষ্ট্রের যেই দাঁতগুলো দিয়ে জনগণের প্রডাক্টিভিটিকে তারা দাবিয়ে রেখেছে, সেটা তারা বুঝতে চায় নাই। কেননা তারা শোষণমূলক রাষ্ট্রযন্ত্র থেকে কত বেশি ফায়দা হাসিল করা যায় সেই চেতনায় ছিল প্রতিযোগিতামুখর। বৈধ-অবৈধ সরকারগুলোর আমলে দেশের অর্থসম্পদ দুর্নীতিতে অপচয় হয়েছে। অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে অনিবার্য ও নোংরা প্র্যাকটিসগুলো জারি থেকেছে স্বৈরশাসকের আমলে।
স্বৈরাচার শাসনকেন্দ্রকে একনায়কের সিলসিলায় কেন্দ্রীভূত করতে চীন-ভারতের মতো মক্কেলদের সমর্থন কেনার পাশাপাশি পশ্চিমা পৃষ্ঠপোষকদের কাছ থেকে বৈদেশিক সহায়তার ওপর নির্ভরতার মাত্রা বৃদ্ধি করতে গিয়ে সব কিছু লেজেগোবরে করে ফেলে। এর মৌল কারণ তলে তলে নিজের গোষ্ঠীর ফায়দাসংক্রান্ত কলাকৌশল বলবৎ রাখার নীতি জারি রাখা।
দারোন অ্যাসেমোগলু এবং জেমস এ. রবিনসনসহ অনেকেই তাদের ‘হোয়াই নেশনস ফেইল’ প্রকল্পে দেখিয়েছেন, উন্নয়নমূলক সহায়তার নামে শোষণমূলক রাষ্ট্রগুলো জনগণের কণ্ঠরোধমূলক আধিপত্য জারি রেখেছে, যার জন্য সেখানে বৈদেশিক সহায়তার কোনো কার্যকারিতা থাকেনি। ফলে তারা জনগণের মাথায় করের বোঝা বাড়িয়ে রাজস্ব বৃদ্ধির চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত বাস্তবসম্মত ঘাটতি মেটানোর জন্য তারা টাকা ছাপিয়ে মুদ্রাস্ফীতির জন্ম দিয়েছে। অথচ ঋণগ্রস্ত দেশগুলোর মতো বাংলাদেশের জন্যও পরিষ্কার বাস্তবতা হলো, শাসকবৃন্দ আপনারা ছলচাতুরী করে প্রকৃত প্রস্তাবে লাগসই উন্নয়নের ফায়সালা করতে পারবেন না।
সংবাদদাতা/ ইলিয়াস