লেখক : সুভাষ সাহা ক্ষমতার প্রতিযোগিতায় নোবেল লরিয়েট ড.মোহাম্মদ ইউনুসের কাছে পরাক্রমশালী শেখ হাসিনা এখন শুধু অতীত।ড.মোহাম্মদ ইউনুসের লড়াইটা শেখ হাসিনার সাথে,বঙ্গবন্ধুর সাথে নয়।”এই বাস্তবতার আলোকে বঙ্গবন্ধু,মুক্তিযুদ্ধ ও ধানমন্ডি ৩২ নং নিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত মন্তব্য অনভিপ্রেত”। ক্ষমতার মসনদে থাকা শেখ হাসিনার জেদের জেরে চৌরাশি বছর বয়সী ড.মোহাম্মদ ইউনুসের লড়াই গড়িয়েছে আদালতে আসামীর কাঠগড়া পর্যন্ত। বিশ্বনন্দিত ড.মোহাম্মদ ইউনুস আত্মসমর্পণ করার পাত্র নন প্রমান করেছেন। প্রতিটি তারিখে পৃথিবীর অন্য প্রান্ত থেকে এসে হাজিরা দিয়েছেন আদালতে।
দীর্ঘদিন ধরে চলা ব্যক্তিত্বের লড়াইয়ের মাঝপথে ‘ঘটনাচক্রে’ ২০২৪ এর ৫ আগষ্টে ‘প্যানালটি গোলে’ ধরাশায়ী হন শেখ হাসিনা! প্রকৃতি চাইলে আটকায় কার সাধ্য! শেখ হাসিনা ও ড.মোহাম্মদ ইউনুসের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের অবনতির পেছনে নাকি তৃতীয় পক্ষের হাত আছে; ইতোপূর্বে মিডিয়ার কাছে অভিযোগ করেছেন ড.মোহাম্মদ ইউনুসের আইনজীবী। গ্রামীন ব্যাংকের অতীত সংকটকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদানের কথা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেছেন এই আইনজীবী। শেখ হাসিনার মুখেও একই প্রসঙ্গের পুনরাবৃত্তি মনে পড়ে।
বহু বাহাস হয়েছে ইতোপূর্বে দুই পক্ষে? গ্রামীন ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড.মোহাম্মদ ইউনুস বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে বিশেষ মর্যাদা এনে দিয়েছেন সত্য ধ্রুব তারার মতো। এই বিবেচনায়ও ড.মোহাম্মদ ইউনুসের প্রতি শেখ হাসিনার এতোটা প্রতিশোধ পরায়ণ, একরোখা মনোভাব আন্তর্জাতিক বিশ্ব ও সংখ্যাগড়িষ্ঠ বাংলাদেশী জনগোষ্ঠী ভালোভাবে নেয় নি বলা বাহুল্য। যাইহোক,সবকিছু ছাপিয়ে ড.মোহাম্মদ ইউনুস এখন অনেককিছুর ঊর্ধ্বে।পাহাড় ছুঁয়েছেন।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার চেয়ার অলংকৃত করার পর সাফল্যের মুকুটে যুক্ত হয়েছে আরেকটি বিস্ময়কর পালক নাম তাঁর রাষ্ট্রনায়ক।
গতকাল সোমবার প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের সাথে বিশেষ সাক্ষাৎকারে ড.মোহাম্মদ ইউনুসের গর্বোক্তি :
” জেলে না গিয়ে বঙ্গভবনে শপথ নিলাম “
সত্যি রাজকপাল। এমন ভাগ্যবান মানুষ পৃথিবীতে আর একজনও জন্মেছে কি না বলা মুশকিল।
” শেখ হাসিনার সাথে শান্তির নোবেল জয়ীর
যুদ্ধ শেষ “। একজন বিজয়ী সেনাপতি। অজেয়।
আরেকজন পরাজয়ের গ্লানি নিয়ে দেশছাড়া!
সংবাদদাতা/ ইলিয়াস