বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য বলছে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে হাত ধোয়া চর্চায় সর্বনিম্ন অবস্থানে আফগানিস্তান। দেশটির গড়ে ৪৮ শতাংশ পরিবারে হাত ধোয়ার মৌলিক পরিবেশ আছে। বাংলাদেশে এ হার ৬২ শতাংশ। শহরে ৬৮ শতাংশ ও গ্রামে ৫৮ শতাংশ। সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে ভুটান। দেশটির ৯৩ শতাংশ পরিবারের হাত ধোয়ার মৌলিক পরিবেশ আছে। শহরে ৯০ ও গ্রামে ৯৬ শতাংশ। পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় এ হার ৮৫ শতাংশ। আর ভারতে ৭৬ ও নেপালে ৬৪ শতাংশ।
সবচেয়ে ভয়াবহ সরকারি হাসপাতালে
রাজধানীর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে রোগী ও তাদের স্বজনের ভিড় লেগেই থাকে। অথচ হাসপাতালটির জরুরি বিভাগ, ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি সেন্টারে (ওসেক), ইমার্জেন্সি অপারেশন রুম, এক্স-রে রুম, সিটি স্ক্যান রুম এবং অবজারবেশন রুমের কোথাও টয়লেটের ব্যবস্থা নেই।
সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ছেলেকে ঢামেকের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা মুনজুর হোসেন বলেন, এত বড় হাসপাতাল অথচ হাত-পা ধোয়ার ব্যবস্থা নেই, টয়লেট নেই! ওয়ার্ডের টয়লেটগুলোও ব্যবহার করার উপযোগী নয়। একই অবস্থা শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল, ঢাকা শিশু হাসপাতালে।
হাত জীবাণুমুক্ত রাখা জরুরি
রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কমিটির সদস্যসচিব ও ঢামেকের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. কাকলী হালদার বলেন, ‘আমাদের হাত অসংখ্য জিনিস স্পর্শ করে। যখন আমরা আমাদের মুখ, নাক বা চোখ স্পর্শ করি, তখন জীবাণুগুলো আমাদের শরীরে ঢুকে বিভিন্ন রোগের কারণ হতে পারে। সর্দি, কাশি, ফ্লু থেকে শুরু করে ডায়রিয়া, হেপাটাইটিস, টাইফয়েড, কভিড-১৯-এর মতো গুরুতর রোগ হতে পারে।
সংবাদদাতা/ ইলিয়াস