নিহত যুবক সাব্বির হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার আলিয়াবাদ গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে। তিনি পরিবারের সঙ্গে দত্তপাড়া লেদুমোল্লাহ রোডে মিজান মিয়ার বাড়ির ভাড়া বাসায় থেকে অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। একই ঘটনায় গুরুতর আহত মেজবাহ উদ্দিন টঙ্গীর এরশাদনগর এলাকার মিজান শেখের ছেলে।
আটক পাঁচজনের নাম জানায়নি পুলিশ। তবে আটককৃতদের মধ্যে স্থানীয় বিএনপি নেতার এক ছেলে রয়েছে বলে জানা গেছে। নিহতের স্বজনরা ও পুলিশ জানায়, সাব্বির প্রতিদিন বিকেলে অটোরিকশা নিয়ে বের হয়ে উপার্জন শেষে রাত ১১টার মধ্যে ঘরে ফিরে যেতেন। প্রতিদিনের ন্যায় গতকাল বুধবারও বিকেল চারটার দিকে বাসা থেকে অটোরিকশা নিয়ে বের হন।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে দত্তপাড়া দিঘীরপাড় থেকে তিনজন যাত্রী নিয়ে অটোরিকশাযোগে টঙ্গী পূর্ব থানার দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। পথিমধ্যে হকের মোড় কোকলা গেইটের সামনে পৌঁছামাত্র আটক চার জনসহ অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জন উশৃঙ্খল জনতা ছিনতাইকারী সন্দেহে অটোরিকশার যাত্রী ও চালকের পথরোধ করে পিটুনি দিতে থাকে। এ সময় কৌশলে দুই যাত্রী পালিয়ে গেলেও ফেঁসে যান অটোচালক সাব্বির ও যাত্রী মেজবাহ। তাদের দুজনকে বেঁধে বেধড়ক পিটুনি দেয় জনতা। এতে তারা গুরুতর আহত হয়ে পড়লে রাত সাড়ে ১১টার দিকে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল এনে কৌশলে পালিয়ে যায় জনতা।
পরে খবর পেয়ে হাসপাতালে এসে আহতদের বাঁধন খুলে দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এর কিছুক্ষণ পর সাব্বির মাটিতে লুটিয়ে পড়লে পুনরায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের স্বজনরা কয়েকজনকে আটক করে থানা পুলিশে সোপর্দ করে। ওসি কায়সার আহমদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘নিহতের লাশ উদ্ধারপূর্বক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা চলমান।’