একক নাটক ‘ম্যাজিক মোমেন্ট’। পরিচালনা করেছেন কে এম সোহাগ রানা। এর আগে তাঁর ‘চাঁদের হাট’-এ অভিনয় করেছি। ওটা কোরবানির ঈদে দারুণ সাড়া পেয়েছিল। নতুন নাটকটির শুটিংও বেশ আগেই করা। দেশের সার্বিক পরিস্থিতির কারণে রিলিজ দেওয়া হয়নি। এখন সিদ্ধান্ত হয়েছে, ২৪ অক্টোবর আসবে।
শোনা যাচ্ছে, সিরিজটির দ্বিতীয় সিজনও আসবে?
আজ (গতকাল) পর্যন্ত দম আটকে ছিলাম, আমরা আসলে কেমন করেছি। তবে আজ (গতকাল) ব্রেক-ইভেন পয়েন্ট (আয়-ব্যয়ের সমান অনুপাত) পার হয়েছে। নিশ্চিত হলাম, আমরা খারাপ করিনি, আমাদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। প্রযোজক দ্বিতীয় সিজন বানাতে বলেছেন। এটা আমাদের টিমের জন্য অনেক বড় খবর। মজার ব্যাপার হলো, এ পর্যন্ত দেশে অনেক সিরিজ হয়েছে। কিন্তু দ্বিতীয় সিজনে গেছে শুধু ‘মহানগর’। এবার আমাদের ‘চক্র’ দ্বিতীয় সিজনে যাচ্ছে।
আপনার অভিনীত নাটকের ভিউ প্রচুর। রিলিজের তারিখ অনুসারে শেষ ১০টি নাটক ১০ কোটি ভিউ পেরিয়েছে। নাটকের ভিউ আসলে কিসের ওপর নির্ভর করে?
মজাদার, আকর্ষণীয় থাম্বনেইল দিয়ে কিছু নাটক মুক্তি দেওয়া হয়, যেগুলো দেখার জন্য দর্শক ক্লিক করে; কিন্তু একটু দেখেই বের হয়ে যায়। ক্লিক করার কারণে ভিউ যুক্ত হয়ে যায়। এ রকম অনেক নাটক আছে, যেটার ভিউ হয়তো ২০-৩০ মিলিয়ন; কিন্তু অধিকাংশ দর্শক সেটা পুরোটা দেখেনি। আমার নাটক ৫০০ মানুষ দেখলেও সেটা পুরোটা শেষ করে। সে জায়গায় এত ভিউ পাচ্ছি। এটাকে আমি হেলদি ভিউ হিসেবে দেখি। আমার নাটকে ১৫ মিলিয়ন ভিউ হলে অন্তত ১০ মিলিয়ন দর্শক পুরো নাটকটি দেখেছে। সে পরিসংখ্যান আমাদের কাছে আছে। কারণ এখন ডিজিটাল যুগ। কত মানুষ দেখেছে, অ্যাভারেজ ওয়াচটাইম কত, সবই দেখা যায়।
ভিউ নিয়ে কেউ কেউ ভিন্নমত পোষণ করেন…
সিনেমার ক্ষেত্রে কত মানুষ টিকিট কেটে দেখেছে, সেটার ওপর নির্ভর করে ছবির সফলতা। নাটকের ক্ষেত্রেও বিষয়টা একই। যাঁর নাটকের ভিউ বেশি, সেখান থেকে বেশি টাকা উঠে আসে, প্রযোজকও পরবর্তী কাজে বাজেট বাড়িয়ে দেন। আমি অভিনয়শিল্পী হিসেবে বড় ক্যানভাসের নাটক করতে চাই। সেটার জন্য তো ভিউ প্রয়োজন। আমি নিজেও বলছি, ভিউ সব কিছু না। তবে ভালো কনটেন্ট যখন ভিউ পাবে, সেটা কমপ্লিটলি আলাদা। ‘পুনর্জন্ম’ যখন ১০ মিলিয়ন ভিউ হয়েছিল, একসঙ্গে লক্ষাধিক মানুষ দেখছিল, সেটা নিশ্চয়ই দারুণ ব্যাপার ছিল। ভালো কাজের ভিউ হলে দর্শকের সামগ্রিক রুচির উন্নতি ঘটবে। আমিও চাই, আমার কোনো কাজ একসঙ্গে দেড়-দুই লাখ মানুষ দেখবে। যাঁরা ভিউকে ছোট করে দেখেন, তাঁরা হয়তো ব্যবসাটা বুঝতে পারছেন না।
সাম্প্রতিক কাজগুলোতে আপনার অভিনয়ের উন্নতি স্পষ্ট। ধারাবাহিকভাবে উন্নতির পেছনে আপনার কৌশলটা কী?
এক পীর সাহেবের পড়াপানি খেয়েছি, তারপর অভিনয় ভালো হয়ে গেছে (হাহাহাহা)। অনেকেই বলছেন, গত এক-দুই বছরে আমার অভিনয়ে যে পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে, সেটা আগে দেখেনি। কিভাবে হলো? আমার তো মনে হয়, পড়াপানি ছাড়া এটা সম্ভব না! দেখুন, এখানে বয়স, অভিজ্ঞতা অনেক বিষয় আছে। ভালো কিছু করার ইচ্ছা, আগ্রহ সব সময় ছিল। কিভাবে করব, এ স্ট্রাগল বরাবরই করেছি। আমি যদি ক্যারিয়ারের শুরুত ভিউর কথা ভেবে শুধু কমেডি কাজ করতাম, তাহলে হয়তো এত দিন টিকতেও পারতাম না। শুরু থেকেই কিছু না কিছু গল্পনির্ভর, অফট্র্যাকের কাজ করেছি। মনের ভেতরে ভালো কাজের ইচ্ছাটা ছিলই। কেন পারিনি, সেসব কারণ খুঁজে বের করেছি, এক এক করে শুধরে নিয়েছি। এই তো, সিম্পল ফান্ডা।
নাটকের পর এখন ওটিটি, এর পর নিশ্চয়ই সিনেমা?
আপাতত এ পর্যন্তই এনাফ আমার জন্য। এত দিন দর্শকের প্রশ্ন ছিল ওটিটি নিয়ে। এখন এলাম, কয়েক বছর নাটক-ওটিটি নিয়ে থাকি। যেহেতু ওটিটিতে দর্শক আমাকে টাকা দিয়ে দেখেছে, একটা চাহিদা তৈরি হয়েছে। অবশ্যই পরবর্তী জায়গাটা চলচ্চিত্র। তবে ওটিটিতে আরো কিছু কাজ আসুক, দর্শক কেমন দেখে, সেটার ওপর নির্ভর করবে।
সংবাদদাতা/ ইলিয়াস