অনলাইন ডেস্ক : বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনে গত ৪ আগস্ট জয়পুরহাটে পুলিশের গুলিতে নিহত বিশাল সরকারের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। লাশ দাফনের ৭৩ দিন পর আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলার পাঁচবিবি উপজেলার রতনপুর সরকার পাড়া গ্রামের কবর থেকে বিশালের মরদেহ তুলে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
হত্যার দিন বিশাল বন্ধুদের সঙ্গে শহরের পাঁচুর মোড়ে মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন। এ সময় পুলিশের গুলিতে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। অন্যরা তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে নেওয়ার পথে জেলার কালাই শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তার মৃত্যু হয়। ওইদিনই পরিবারের লোকজন ময়নাতদন্ত ছাড়াই তড়িঘড়ি করে পারিবারিক কবরস্থানে বিশালের লাশ দাফন করেন।
পরে বিশালের বাবা মজিদুল ইসলাম সরকার বাদী হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, জয়পুরহাট-১ ও ২ আসনের সাবেক এমপি সামসুল আলম দুদু ও আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনসহ ১২৮ জনের নাম উল্লেখ করে জয়পুরহাট সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে নিহত বিশালের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ তোলা হয়।
নিহত বিশালের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের সময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উজ্জ্বল বাইন, জেলা সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডা. শাহ আলম শোভন, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম, বিশালের বাবা মজিদুল ইসলাম সরকারসহ স্থানীয়রা। দীর্ঘদিন পর কবর থেকে লাশ উত্তোলনের সময় বিশালের বাবাসহ স্থানীয়রা বিশাল হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
সংবাদদাতা/ ইলিয়াস