অনলাইন ডেস্ক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তিন মাস দেশের ভেতরে কোথায় লুকিয়ে ছিলেন, তা সরকারের জানা ছিল না। ওবায়দুল কাদের কোথায় ছিলেন, আমরা যদি জানতাম ধরে ফেলতাম। কথাগুলো বলেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার সেগুনবাগিচায় ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
এক সাংবাদিক স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে প্রশ্ন করেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জানতে চেয়েছেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পরও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তিন মাস বাংলাদেশে লুকিয়ে থেকে কীভাবে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন? জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘উনি কীভাবে জানলেন, তিন মাস লুকিয়ে ছিলেন। আমরা তো জানি না। আমরা যদি জানতাম ধরে ফেলতাম। ওই খবর যদি আমাদের দিতেন লুকিয়ে আছে, অবশ্যই ধরে ফেলতাম। আপনারা একটা উদাহরণ দেন যে কেউ লুকিয়ে আছে আমরা জেনেও তাকে ধরিনি। আমরা কাউকে ছাড় দিচ্ছি না।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পুলিশের মনোবলে আগের চেয়ে অনেক পরিবর্তন এসেছে। তাদের মনোবল বেড়েছে। একটা বড় ঘটনা ঘটার পর দুই দিনে পরিবর্তন আসবে না। একটা ঝড় হয়ে গেলে ঘরবাড়ি সংস্কারে সময় লাগে। আমাদের সময় দিতে হবে। আপনারা (গণমাধ্যমকর্মী) অধৈর্য হয়ে যাচ্ছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে।
অনেক পুলিশ কাজে যোগ দিয়েও মামলার আসামি হওয়ার কারণে পালিয়ে গেছেন, সাংবাদিকের এমন বক্তব্যের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘কাজে যোগ দেওয়ার পর পুলিশ পালিয়ে গেছে, এমন সংবাদ নেই। তারা কাজেই যোগ দেয়নি। আগের সরকারের প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয়স্বজন ১৬ জন সংসদ সদস্য ছিল। সবাইকে তিনি আগে ভাগিয়ে দিয়েছেন। এখানেও এমন কিছু ঘটেছে। যেসব পুলিশ সদস্য পালিয়ে আছে, তারা অপরাধী। তাদের যেখানেই পাওয়া যাবে, ধরা হবে। কেউ খবর দিতে পারলে অপরাধীদের ধরা হবে।’
গাজীপুরে টঙ্গীর তুরাগ তীরে শুরু হতে যাওয়া আসন্ন বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে আজকের আইনশৃঙ্খলা বৈঠকে দীর্ঘ সময় আলোচনা হয়েছে। ইজতেমা সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া রাস্তায় চাঁদাবাজি প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সংবাদদাতা / ইলিয়াস