অনলাইন ডেস্ক : তীব্র শীতে কাবু হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের মানুষ। ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল বাতাসে জবুথবু হয়ে পড়েছে মানুষসহ গৃহপালিত পশুপাখিরাও। বেলা ১১টা পার হলেও দেখা মিলছে না সূর্যের। মঙ্গলবার সকাল ৭টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুয়াশার ঘনত্ব বেশি হওয়ার যানবাহনগুলো বরাবরের মতোই হেডলাইট জ্বালিয়ে সতর্কতার সঙ্গে চলাচল করছে।
দিনের বেলা সূর্যের উত্তাপ না থাকায় হিমেল বাতাসে কমতে থাকে তাপমাত্রার পারদ। এ অবস্থায় সন্ধ্যার পর থেকে সকাল পর্যন্ত তীব্র শীত অনুভূত হতে থাকে। বৃষ্টির মতো করে ঝরছে কুয়াশার শিশির। মাটিকাটার কাজ বের হওয়া শহরের একতা পাড়ার রেজিয়া বেওয়া বলেন, হোটেলটা বন্ধ হইছে কামকাজ নাই। দুইদিন থাকি এই ঠান্ডাত মাটি কাটার কাজ করবের যাই। গাওত চাদর দেমো কট্টি থাকি।
আরেক শ্রমিক ইয়াকত আলী বলেন, হামার গরম কি আর ঠান্ডা কি কামত না বেড়াইলে পেটট ভাত যাইবে কেমন করি। হাত পাও অবশ হয়া যায় ঠান্ডাতে, গামছা দিয়া কান ধাকি কাজত বেড়াইছি। রিকশাচালক জয়নাল মিয়া বলেন, সকাল ১০টা বাজে, সূর্যের দেখা নাই, লোকজন তেমন বের হয় না এই কুয়াশাত। মানুষ না বের হলে রিকশা ধরি বসি থাকা নাগে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, গত ১ মাস ধরে এই অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠানামা করছে। আগামীতে আরও তাপমাত্রা কমে শৈত্যপ্রবাহ এ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জেলার ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার বলেন, ২য় ধাপে নতুন করে ৯ উপজেলার জন্য ১০ হাজার কম্বল ও ২২ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। যা চাহিদা অনুযায়ী বিতরণ চলমান।
সংবাদদাতা/ ইলিয়াস