অনলাইন ডেস্ক : ফরচুন বরিশালের কাছে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। মূলত সিলেটের ব্যাটাররা একেবারেই ব্যর্থ ছিলেন। তাই ছোট পুঁজি নিয়ে কিছু করার ছিল বোলারদের। এমন হারে বিদেশি ক্রিকেটারদের ব্যর্থতাকে দায়ী করলেন সিলেটের কোচ মাহমুদ ইমন। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে ইমন বলেন, ‘প্লেয়ার সিলেকশন যেটা বললেন একজন কোচ হিসেবে আমি মনে করি এটা আমাদের জন্য ঠিকই ছিল। কিছু কিছু ম্যাচে এটা আমাদের পক্ষে আনার সুযোগ ছিল, যেখানে আমাদের একটা জুটি গড়ার দরকার ছিল, প্রথম ম্যাচ থেকেই যদি ধরেন। ৩-৪ ম্যাচে সুযোগ ছিল, সুযোগ আমরা নিতে পারিনি।’

‘প্রথম থেকেই মোমেন্টামটা আমরা ধরতে পারিনি। পরে সিলেটে পরপর ২টা ম্যাচ খেলার পর আমাদের ৪ জন প্লেয়ার ইঞ্জুরড হয়ে যায়। বিদেশিরা আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী সার্ভিস দিতে পারেনি। প্রত্যেকটা বিদেশি প্লেয়ার ওয়ান সাইডেড হয়ে গিয়েছিল। যে ব্যাটার ছিল সে ব্যাটারই ছিল, যে বোলার ছিল সে বোলারই ছিল। আমাদের প্রত্যাশা ছিল বেশি, বিশেষ করে (রিস) টোপলির কাছ থেকে, কিন্তু সেই সার্ভিসটা পাইনি।’

জাকের আলী অনিকের পারফরম্যান্স নিয়ে ইমন বলেন, ‘বিপিএলের আগে যে পর্যায়ে ছিল শুরুটাও সেভাবে আপ এন্ড ডাউনের মধ্যে ছিল। কিছু ম্যাচ ভালো গিয়েছে, আবার কিছু ইঞ্জুরি প্রবলেমও ছিল। সিলেটে টানা ম্যাচ খেলার পর ব্যাকে লাগার কারণে সেখানে একটু সেইফ ছিল। ফিজিওরও নির্দেশনা ছিল। জাকের যেমন প্লেয়ার আরও কার্যকরী হতে পারত যদি আরও ভালো সার্ভিস দিত।’

ইমন আরও বলেন, ‘বুস্ট আপের সর্বোচ্চ চেষ্টাই আমাদের ম্যানেজমেন্টের থেকে করা হয়েছে। জানেন যে আমাদের বিনোদনের জন্য একঘেয়েমি যাতে না আসে, সেই পর্যায়ের ট্রেনিং থেকে শুরু করে সবকিছুই চেষ্টা করা হয়েছে। এখানে তো পেশাদার ক্রিকেটার, ওদেরকেই এই ব্যাপারটা নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের পক্ষ থেকে চেষ্টা চলেছে। আমরাও আপনাদের সাথে একমত। দল হিসেবে মাঠের মধ্যে যে সার্ভিসটা দেওয়ার কথা আমরা সেটা দিতে পারছি না। আশা করা যায় শেষ ২টা ম্যাচ, একটা কথা আছে শেষ ভালো (যার সব ভালো তার) যদিও সুযোগ নাই, শেষ ভালো করে যদি শেষ করতে পারি তাহলে হয়ত বলা যায় আরকি শেষ ভালো যার সব ভালো তার।’

 

সংবাদদাতা / ইলিয়াছ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!