জেনি এরপেনবেক একজন ঔপন্যাসিক এবং গল্পকার। জন্ম পূর্ব বার্লিনে, ১২ মার্চ ১৯৬৭ সালে। তিনি পাকাপাকিভাবে লেখালেখি শুরু করেন ১৯৯০ সাল থেকে। ১৯৯৯ সালে তার প্রথম নভেলা ‘দ্য ওল্ড চাইল্ড’ প্রকাশিত হয়। ২০০১ সালে প্রকাশিত হয় তার গল্পসংগ্রহ ‘ট্রিংকেট্স’ এবং দ্বিতীয় নভেলা ‘দ্য বুক অব ওয়ার্ড্স’ প্রকাশিত হয় ২০০৪ সালে। উপন্যাস ‘ভিসিটেশন’ প্রকাশিত হয় ২০১০ সালে এবং তা বেশ প্রশংসা কুড়িয়ে নেয়।
নিউইয়র্ক টাইমস সম্প্রতি তাকে ‘আমাদের সবচেয়ে পরিশীলিত এবং শক্তিশালী ঔপন্যাসিকদের মধ্যে’ একজন হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। ২০১৭ সালেও একবার বুকার ইন্টারন্যাশনাল পুরস্কারের জন্য দীর্ঘ তালিকায় তার নাম উঠে আসে। তার কাজের মধ্যে ছোটগল্প, নাটক এবং নন-ফিকশনও রয়েছে। ২০২৪ সালে প্রকাশিত উপন্যাস ‘কায়রোস’, বুকার ইন্টারন্যাশনাল বিজয়ের সূত্র ধরে এরপেনবেক আবার আলোচনায় চলে আসেন। ‘কায়রোস’ উপন্যাসটি জার্মানি থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন মাইকেল হফম্যান। ২০০১ সালে জুরি প্রাইজ পুরস্কারপ্রাপ্তির মধ্য দিয়ে অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন এই কথাসাহিত্যিক। জেনি এরপেনবেক হচ্ছেন এই প্রথম কোনো জার্মান, যিনি জার্মান ভাষায় উপন্যাস লিখে বুকার পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। এরপেনবেক বেড়ে উঠেছেন একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে, যখন পূর্ব জার্মানি ও পশ্চিম জার্মানির মধ্যে দাঁড়িয়ে যায় পারস্পরিক প্রতিহিংসার বার্লিন দেয়াল। ১৯৮৯ সালে এই দেয়াল আবার ভেঙে দেওয়া হয় তবু রয়ে যায় পূর্ব জার্মানদের প্রতি অবজ্ঞা আর হিংসার অস্পৃশ্য ছায়া। রাজনৈতিক দুরাচার আর নীতিনৈতিকতার বিভাজনের মধ্যে এরপেনবেক ধারণ করেছেন জীবনের নিষ্ঠুরতম বাস্তবতা। জীবনের এই চরম অর্জন থেকে লিখেছেন ‘কায়রোস’ যেখানে ভালোবাসা, অপব্যবহার এবং বিশ্বাসঘাতকতার এক নিখুঁত বর্ণনা রয়েছে। বুকার প্রাইজের ওয়েবসাইট এবং কাথরিনা বেইলিং-এর ওয়েবসাইট থেকে সাক্ষাৎকারের চুম্বক অংশটুকু সময়ের আলোর জন্যে ভাষান্তর করেছেন উদয় শংকর দুর্জয়।