‘মিস ইন্ডিয়া ২০১৯’ মুকুট জিতেছেন রাজস্থানের সুমন রাও। এনডিটিভি ডটকমের একটি প্রতিবেদনে এমনটাই জানানো হয়েছে।
এ উপলক্ষে গতকাল শনিবার মুম্বাইয়ের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল ইনডোর স্টেডিয়ামে জমকালো এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। নতুন মিস ইন্ডিয়ার মাথায় মুকুট পরিয়ে দেন গত বছর এ খেতাব বিজয়ী অনুকৃতি ভাস।
২০ বছর বয়সি সুমন রাও কলেজ শিক্ষার্থী। এ বছর থাইল্যান্ডে মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন তিনি। খেতাব জয়ের পর এক সাক্ষাৎকারে সুমন রাও বলেন, ‘জীবনে যখনই কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির করবেন, তখন আপনার শরীরের প্রতিটি স্নায়ু, শিরা সেই লক্ষ্য অর্জনের জন্য কাজ শুরু করে দিবে।’
ছত্তিশগড়ের শিবানি যাদব হয়েছেন ‘মিস গ্র্যান্ড ইন্ডিয়া ২০১৯’। অন্যদিকে বিহারের শ্রেয়া শংকর ‘মিস ইন্ডিয়া ইউনাইটেড কনটেস্ট ২০১৯’ খেতাব জিতেছেন।
অনুষ্ঠানে বিচারকের আসনে ছিলেন বলিউডের কোরিগ্রাফার রেমো ডিসুজা, হুমা কোরেশি, চিত্রাঙ্গদা সিং, ফ্যাশন ডিজাইনার ফাল্গুনী সেন পিকক, ফুটবলার সুনীল ছেত্রী প্রমুখ। এছাড়া অনুষ্ঠানের মঞ্চে পারফর্ম করেন— ক্যাটরিনা কাইফ, ভিকি কৌশল, মৌনি রায়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন করন জোহর ও অভিনেতা মণীশ পাল।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
এবার শীর্ষ নির্বাহী ক্যারি ল্যামের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন কয়েক লাখ করেছেন হংকংবাসী। একই সঙ্গে বিতর্কিত প্রত্যার্পণ বিল বাতিলের দাবি নিয়ে রোববার বিক্ষোভকারীদের অনেকে কালো পোশাক পরে কিংবা হাতে সাদা ফুল নিয়ে হাজির হয়েছিলেন শহরের ভিক্টোরিয়া স্কয়ারে।
শনিবার আগের অবস্থান থেকে সরে এসে বিতর্কিত অপরাধী প্রত্যার্পণ বিল স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছিলেন শীর্ষ নির্বাহী ক্যারি ল্যাম। তবে বিক্ষোভকারীদের নেতারা জানিয়েছিলেন তারা স্থগিত নয় বরং পুরো বিলের প্রত্যাহার চান। এই দাবিতে রোববার তারা বিক্ষোভ সমাবেশ করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বুধবারের মতো পুলিশের সঙ্গে সংঘাত এড়াতে রোববার বিক্ষোভকারীদের অনেকে হাতে ফুল নিয়ে নেমেছিলেন। ভিক্টোরিয়া পার্কে জমায়েত হওয়া বিক্ষোভকারীদের কারো কারো হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘গুলি করবেন না, আমরা হংকংবাসী’। দুপুরের দিকে তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে চড়লে কেউ কেউ জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এসময় স্বেচ্ছাসেবকদের সেখানে ছুটে যেতে দেখা যায়। সেখান থেকে বিক্ষোভকারীরা সরকারি দপ্তরগুলোর দিকে রওনা দেন। এসময় মিছিল থেকে আয়োজকরা ক্যারি ল্যামের পদত্যাদের দাবিতে স্লোগান দেন।
মিছিলে অংশ নেওয়া ১৬ বছরের ক্যাথিরিন চিয়াং বলেন, ‘গতকাল ক্যারি ল্যাম ক্ষমা চাইতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। এটা অগ্রহণযোগ্য। তিনি হচ্ছেন পুরোপুরি মিথ্যাবাদী ভয়ংকর নেতা। … আমি মনে করি তিনি স্রেফ কৌশল অবলম্বনের জন্য বিলটি বিলম্ব করেছেন যাতে আমরা শান্ত হই।’
ক্যাথিরিনের সহপাঠি সিন্ডি ইপ বলেন, ‘এ কারনে আমরা এখনো বিলটি বাতিল দাবি করছি। আমরা তাকে আর বিশ্বাস করি না। তাকে পদত্যাগ করতে হবে।’
চীনপন্থী হিসেবে পরিচিত ল্যাম ও তার দলীয় আইনপ্রণেতারা অপরাধী প্রত্যার্পণ আইন পাসের উদ্যোগ নিয়েছিলেন সম্প্রতি। প্রস্তাবিত বিলটিতে পলাতক অপরাধীদের বিচারের জন্য চীনের কাছে প্রত্যার্পণের বিধান রাখা হয়েছে। এর মধ্যে কেবল চীন নয়, হংকংয়ের বাসিন্দারাও অর্ন্তভূক্ত থাকবে। সমালোচকদের দাবি, এই আইনটি চীনকে তার রাজনৈতিক বিরোধীদের হংকং থেকে বেইজিংয়ে নেওয়ার সুযোগ করে দেবে। এতে যেমন অপরাধীরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হবে তেমনি হংকংয়ের বিচার ও শাসনব্যবস্থার ওপর চীনের হস্তক্ষেপের সুযোগ করে দেবে। সর্বশেষ গত বুধবার লক্ষাধিক বিক্ষোভকারী সরকারি ভবনগুলো ঘিরে থাকা সড়কে অবস্থান নেয়। এর ফলে শহরের অর্থনৈতিক কেন্দ্রস্থলটি অচল হয়ে পড়ে। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষও হয়েছে কয়েক দফা।
ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে শনিবার ক্যারি ল্যাম বিলটি স্থগিতের ঘোষণা দেন। সংবাদ সম্মেলনে ল্যাম বলেছেন,‘দুদিন বিষয়টি অধ্যয়নের পর আমি ঘোষণা করছি, আমরা সংশোধনী স্থগিত করব।’