বিষেরবাঁশী ডেস্ক: আজ থেকে বছর ২০ আগেও মেয়েদের শার্ট–প্যান্ট পরার এতটা চল ছিল না। কিছুদিন আগেই বাজারে এসেছে পকেটওয়ালা লেগিংস।
এবার এলো শাড়ি! ভাবছেন শাড়িতে আবার পকেট কোথায়? তা যদি ইলাস্টিক দেওয়া ধুতি হয়, শাড়ি হয় , কুর্তিতে পকেট হয় তাহলে শাড়িতেই বা নয় কেন। স্টাইল করতে চাইলে সবেতেই করা যায়।
মেয়েদের শাড়ি পরার ঐতিহ্য বেশ পুরনো। পোশাকে নানান বৈচিত্র ও বদল আসলেও শাড়ির আবেদনে কমতি হয়নি। সেই প্রাচীন কাল থেকে এখন পর্যন্ত শাড়ির কাঠামো বা নকশায় তেমন কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি।
হয়তো পাড়, আঁচল আর জমিনে কারুকাজে ভিন্নতা এসেছে, কিন্তু গঠনগত নকশায় তেমন কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। এখনও যে কোনও মেয়েকে শাড়িতেই সবচেয়ে ভালো মানায়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই সময়ে বলা হয়েছে, এই পকেট শাড়ি তৈরি করেছে ‘অনিন্দ্য’ নামের একটি অনলাইন শপ।
এর নকশাকার নীলিমা সরকার বলেন, ‘সব সময় শাড়ি নিয়ে কাজ করি বলেই হয়তো এই ভাবনাটা মাথায় এসেছিল, শাড়ি পরতেও খুব ভালোবাসি; তবে শাড়ি পরে বাইরে দৌড়ে কাজ করা সম্ভব হয় না খুব একটা।
আমার যে কাজ তাতে ফোন সব সময় কাছে রাখতে হয়, যেহেতু ব্যবসাটা অনলাইন। একটা শাড়ি ডিজাইন করতে করতে জামার পকেট থেকে ফোন বের করছিলাম, তখনই মনে হচ্ছিল জামায় যদি পকেট থাকতে পারে, তাহলে শাড়িতে কেন পকেট থাকবে না?’
‘যারা সব সময় শাড়ি পরেন তাদের জন্য হয়তো শাড়ির পকেটটি কাজে আসতে পারে। এ ছাড়া এটি স্টাইলে ভিন্নমাত্রা যোগ করবে বলে মনে হচ্ছিল। মানুষ ব্যাপারটা কীভাবে নেবেন এত কিছু চিন্তা না করেই তখন শাড়ির পাড় লাগানোর জন্য যে কাপড় ব্যবহার করব তার থেকে কিছু অংশ কেটে পকেটের ফরমা বানিয়ে জুড়ে দিলাম শাড়িতে,’ বলেন নীলিমা।
ধারনা করা হচ্ছে আসন্ন ঈদ উল ফিতরকে স্মনে রেখে এই ডিজাইনের শাড়ি বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া যাবে।
বিষেরবাঁশী ডেস্ক/সংবাদদাতা/হৃদয়